সারাদেশ

সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে আলোচনা, কৌতূহল

কার কপাল পুড়বে এবারের নির্বাচনে

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এবার নারায়ণগঞ্জে আলোচনা কেড়েছে আগামী ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আইনজীবী সমিতির নির্বাচন। বিএনপি নির্বাচনে আসবে কিনা এ নিয়ে ধোয়াশা থাকলেও আওয়ামী লীগে চলছে প্যানেল নিয়ে আলোচনা সমালোচনা। এবার আওয়ামী লীগ প্যানেলে একাধিক পদে রদবদল হতে পারে এমনটাই গুঞ্জন উঠেছে আদালতপাড়ায়। সেখানে বারের সাবেক দুইবারের সভাপতি অ্যাডভোকেট মহসীন মিয়া সভাপতি হচ্ছেন, এটা নিশ্চিত। তবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদ সাধারণ সম্পাদক পদে কে আসছেন—তা নিয়েই আদালতপাড়ায় সবার ব্যাপক আগ্রহ এবং কৌতূহল তৈরি হয়েছে।

এদিকে আদালতপাড়ায় বাইরে টেবিলে চায়ের দোকানে সাধারণ সম্পাদক পদে শুনা যাচ্ছে বারের সাবেক দুইবার নেতৃত্ব দেওয়া অ্যাডভোকেট মাহাবুবুর রহমানের নাম। অ্যাডভোকেট মাহাবুবুর রহমান ছাড়াও আলোচনায় রয়েছেন বারে একবার সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্ব দেওয়া রবিউল আমিন রনি ও কামাল হোসেনের নাম।

আইনজীবী সূত্র জানিয়েছে, আমাদের নীতি নির্ধারক ও শামীম ওসমান আসলে কী চান? কাকে চান? তারাই সেটি ঠিক করবেন। তবে আমাদের একটাই দাবি, বিগত সময়ে যারা আইনজীবীদের পাশে ছিলেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদ সাধারণ সম্পাদক পদে যেনো তাকে দেওয়া হয়।

আইনজীবীরা বলছেন, অ্যাডভোকেট মাহাবুবুর রহমান আসতে পারেন সেক্রেটারি পদে। আবার আইনজীবীদের কেউ কেউ জোরের সঙ্গে বলছেন, পরিবর্তন আসছে। এ পদে আসার জন্য নানামুখী তদবিরও চলছে আইনজীবীদের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমানের ওপর। একমাত্র তারা জানেন কে ধরবেন আগামী ১ বছরের জন্য সাধারণ সম্পাদক পদের হাল।

অ্যাডভোকেট মাহাবুবুর রহমান কি আসছেন : বারের সাধারণ সম্পাদক পদটি বরাবরই গুরুত্ববহ।আইনজীবীদের অনেকেই বলছেন, আইনঅঙ্গনে অ্যাডভোকেট মাহাবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগও নেই। আদালতপাড়ায় তিনি একজন পরিচ্ছন্ন আইনজীবী। বিগত দুই ট্রাম তিনি সততা ও নিষ্ঠার সাথে আইনজীবীদের কল্যানে কাজ করেছেন। বলতে গেলে, এবারের নির্বাচনে নীতি নির্ধারকের পছন্দের তালিকায় আছেন তিনি। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমানের একনিষ্ঠ কর্মী এমন কথাও চলছে আইনজীবীদের মধ্যে।

মাহাবুব না হলে তবে কে : আলোচনার শেষ বিন্দুতে আছেন রবিউল আমিন রনির নাম। সে ওসমান পরিবারের অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহোচর খালেদ হায়দার খান কাজলের একজন পচ্ছন্দের। এ কারণে গত ২০২২-২৩ নির্বাচনে স্বল্প বয়সে রনি জায়গা করে নেন সাধারণ সম্পাদকের। তবে এবার শারীরিকভাবে অসুস্থ খালেদ হায়দার খান কাজল। কাজল অনেকটা আড়ালে যাওয়ায় রনি পদ পাবেন কিনা এ নিয়ে ধোয়াশা সৃষ্টি হয়েছে আইনজীবীদের মাঝে।

তবে, শেষ পযর্ন্ত কি হবে এটা দেখার অপেক্ষায় আইনজীবীরা।

Back to top button