Uncategorized

ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবসে মোশাররফ স্কুল কলেজে আলোচনা

আজ ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ছয় দফা দাবির পক্ষে দেশব্যাপী তীব্র গণআন্দোলন সূচনার দিন। ১৯৬৬ সালের এদিন বাংলার স্বাধিকার আন্দোলন স্পষ্টত নতুন পর্যায়ে উন্নীত হয়। এর মধ্য দিয়ে রচিত হয় স্বাধীনতার রূপরেখা। ছয় দফাভিত্তিক আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন স্বাধীনতা সংগ্রামে রূপ নেয়।

দিবসটি উপলক্ষে বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ কাচঁপুরে মোশাররফ হোসেন স্কুল এন্ড কলেজে শীর্ষক আলোচনা ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতে অংশগ্রহণ করে স্কুলের পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী বৃন্দ।

মোশাররফ হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাদিয়া নূরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অত্র কলেজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন।

এসময় মোশাররফ চেয়ারম্যান বলেন,
ঐতিহাসিক ৬-দফা দিবস ‘বাঙালির মুক্তির সনদ’- যা ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে। ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের সকল বিরোধী রাজনৈতিক সংগঠনগুলোকে নিয়ে লাহোরে এক জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে পূর্ব বাংলার জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৬-দফা দাবী পেশ করেন। বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তা দেখে ও ভীত হয়ে তৎকালীন আইয়ুব খানের স্বৈরাচার সরকার ৮ মে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। এরপর বিক্ষোভে নেমে পড়ে বাংলার মানুষ। অতঃপর বঙ্গবন্ধুর ৬দফা আন্দোলন ৭ জুন নতুন মাত্রা পায়। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ৬-দফার প্রতি বাঙালির অকুণ্ঠ সমর্থনে রচিত হয় স্বাধীনতা।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বাবুল ওমর বাবুসহ অভিভাবক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

 

 

 

Back to top button