স্টাফ রিপোর্টার(Somoysokal) নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনের ক্ষেত্রে দুটো ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। একটা গ্রুপ হচ্ছে আম্মা গ্রুপ, যারা খালেদা জিয়াকে বেস করে বিএনপির রাজনীতি করছেন। আরেকটা গ্রুপ হচ্ছে লন্ডনে থাকা তারেক জিয়া, তার ফলোয়ার্স। স্বাভাবিক ভাবেই তারেক জিয়া যেটা চাচ্ছে নির্বাচনটা যাতে না হয়। কারণ তিনি মানি লন্ডারিং মামলা ও একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। অস্ত্র মামলা আইন তার বিরুদ্ধে চলছে। তারা জানেন সঠিক নির্বাচন হলে ১৫১ সিট তারা পাবেন না।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সদর উপজেলা সহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর কার্যালয় উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে দেশে বেশ কিছু জঙ্গি ধরা পরেছে। আর এ বিষয়ে বিএনপির টপ পর্যায়ের সব নেতা জানবে, এটা আমি বিশ্বাস করি না। কিন্তু এমন কিছু ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করা হবে, যে ঘটনা গুলো ঘটলে একটি রাষ্ট্র ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়। অর্থাৎ প্রচুর লাশ চাই, সেটা আওয়ামী লীগের হোক, সাধারণ মানুষের হোক কিংবা বিএনপির হোক। এরকম ভাবে নির্বাচনটাকে বন্ধ করার একটি অপচেষ্টা করা হবে। চেষ্টা সফল হবে না কোনো সময়।
শামীম ওসমান বলেন, মার্চ-এপ্রিল-মে-জুন এই সময়টায় যারা দেশের ভালো চান তাদের সকলের সচেতন হওয়ার দরকার আছে। কারণ যে জিনিসটা তারা করার চেষ্টা করছে সেটি করলো বাংলাদেশ আফগানিস্তানের চেয়েও বাজে রাষ্ট্রে পরিণত হবে। সব দলেই ভালো লোক আছে, বিএনপির মধ্যেও ভালো লোক আছে। আমার মনে হয় এই বিষয়টা তাদেরও দেখা উচিত।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিফাত ফেরদৌস, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. শওকত আলী,কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মনিরুল আলম সেন্টু, ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপনসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।