কাউন্সিলরের সমর্থক ফেন্সি’সহ ডিবির হাতে গ্রেফতার
মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, ইভটিজিং ও কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে ঢাকঢোল পিটিয়ে মানববন্ধনের আয়োজন করা নাসিক ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলামের সমর্থক টুটুলকে (লাল তীর চিহ্ন দিয়ে মার্ক করা) ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। গত বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে ডিবি পুলিশ ১০০ বোতল ফেনসিডিলসহ তাকে গ্রেফতার করে।
এতে সিদ্ধিরগঞ্জে তুমুল আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে! যিনি মাদকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেন, তার সমর্থকরাই মাদকের কারবারি করছে এবং পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। তার কাছে আশ্রয় নিচ্ছে সন্ত্রাসী, চাদাবাজি আর মাদক ব্যবসায়ীরা।
গত শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আনোয়ার ইসলাম নিজ কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে মানববন্ধন করার আয়োজন করা হলেও সেখানে একাধিক মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের উপস্থিতি ছিল। এছাড়াও মানবন্ধনে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার একাধিক মামলার আসামি, চাঁদাবাজ ও বিএনপির ক্যাডার সন্ত্রাসী নুরউদ্দিনসহ বিএনপির একাধিক নেতাকর্মীদের উপস্থিতিও লক্ষ্য করা গেছে।
এদিকে নাসিক ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলামের নাম ভাঙিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত একাধিক যুবক। যা ইতিমধ্যে বিভিন্ন পত্রিকয় শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সিদ্ধিরগঞ্জে ১নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলামের পরিচয় দিয়ে দিব্বি মাদক সেবন, মাদক কারবারি, চোরাই অটো রিকশা কেনা-বেচা, সাধারণ মানুষের জমি দখল, ইন্টারনেট ব্যবসা দখল, চাঁদাবাজি সহ নানা অপরাধ মুলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে টুটুল, জাকির, মাসুম, পরাণ, ওমর হাসান, রিপন সহ কিছু যুবক।
জানা যায়, লিয়ন এবং মাসুদের সাথে তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। সেই সুবাদে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর আনোয়ারের পক্ষে সক্রিয় ছিল টটুল, জাকির, মাসুম, মনির, ওমর হাসান, পরান ও তাদের সহযোগীরা। সেই থেকে তারা কাউন্সিলরের লোক হিসেবে পরিচিতি পায়। নির্বাচনের পর থেকে তারা তাদের অপকর্মে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় মাদক সেবন, মাদক সরবরাহ, চোরাই অটো রিকশা কেনা-বেচা, জমি দখলের চেষ্টা ও পায়তারা সহ নানা ধরনের অপকর্ম পরিচালনার অভিযোগ এলাকাবাসীর। জমি সংক্রান্ত বিষয়ে অর্থ আত্মসাত ও চাঁদাবাজির অভিযোগও উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে।