‘শামীম ওসমান আলাদা এক চিজ হে!’
নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, আমি জানতাম আমার এলাকায় সর্বোচ্চ কত শতাংশ ভোট পড়তে পারে। আমার হিসেব ছিল ৪১-৪২ শতাংশ ভোট পড়বে। কিন্তু ভোট পড়েছে ৩২ শতাংশ। বাকি ৯-১০ শতাংশ ভোট পড়ে নাই। পড়ে নাই, না পড়তে দেওয়া হয় নাই এটাই এখন প্রশ্ন। একদল বলছে, মোবাইল নিয়ে ভোট দেওয়া নিষেধ। ভোটারদের যেতে দেওয়া হয় নাই। পুরুষ মানুষরা ফোন আশপাশে কোথাও রেখে ভোট দিয়েছিল। কিন্তু মহিলারা যারা ফোন নিয়ে গেছেন তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্তত ২টা সেন্টারে ১০০ থেকে ২০০ মহিলা ফেরত গেছে। অথচ তারা ভোট দিলে ৪১ শতাংশ ভোট কাস্ট হত। এটা পরিকল্পনা করে করা হয়েছে।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনোত্তর পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
শামীম ওসমান বলেন, এক দল গিয়ে প্রিজাইডিং অফিসারকে ধমক দেয়। বলে শামীম ওসমানের ভোট কাস্ট কমাতে হবে। তারা বোঝেনা শামীম ওসমান আলাদা এক চিজ হে! আমি গাড়ীতে একটা ট্রিপ দিলে ভোট ঠিকমতো হত। কিন্তু আমি বলেছি, এবারের নির্বাচন ১০০ ভাগ ফ্রি ও ফেয়ার হবে। আমরা দেখতে চেয়েছি কি হয়। রাতে হোন্ডার বাহিনী এলান করেছে ভোট কেন্দ্রে যাবি যারা, লাশ হয়ে ফিরবি তারা। ওরা ট্রাকে আগুন দিয়েছে, ট্রেনে আগুন দিয়েছে। মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত করা হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহিদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাজি ইয়াসিন মিয়া, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও যুবলীগ নেতা এহসানুল হাসান নিপুসহ প্রমুখ।