সারাদেশ

মানুষ আওয়ামী লীগকে ঘৃণা করে : মঈন খান

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, আমরা আন্দোলন করছি ক্ষমতার জন্য নয়। আমরা আন্দোলন করছি মানুষের ভোটের অধিকার গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য। আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করছি। আওয়ামী লীগ ভালো কাজ করে থাকলে মানুষ তো তাদের ভোট দেবেই। স্পষ্ট করে বলতে চাই, আওয়ামী লীগ যদি মানুষের ইচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধা করে তাহলে আমরা এরই মধ্যে দেখিয়ে দিয়েছি মানুষ আওয়ামী লীগকে ঘৃণা করে। আওয়ামী লীগ চলে যাক। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হোক। আওয়ামী লীগ সে নির্বাচনে বিজয়ী হলে আমিও তাদের অভিনন্দন জানাব।

বুধবার (২৭) সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় পাসপোর্ট অফিসের সামনে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এ সরকার গণতন্ত্রকে হরণ করেছে। এ গণতন্ত্রকে আমাদের ফিরিয়ে আনতে হবে। তাই আজ নারায়ণগঞ্জের মানুষ রুখে দাঁড়িয়েছে। একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা ও মানুষের গণতন্ত্র রক্ষা করা।

মঈন বলেন, এ স্বৈরাচারী সরকার দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে দেশ চালাচ্ছে। তারা দাবি করে তারা নাকি স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। যে সরকার গণতন্ত্র হরণ করে আজ অলিখিত বাকশাক কায়েম করেছে সে সরকার কোনোদিন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হতে পারে না। এ সত্য আজ শুধু বাংলাদেশের ভেতরে নয়, বাংলাদেশের বাইরের মুক্তিকামী বিশ্বের প্রতিটি মানুষ এটি টের পেয়ে গেছে।

‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গেছে’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, রিজার্ভ এত দ্রুত কেন কমল তার জবাব এ সরকারকে দিতে হবে। যারা সুশাসনে বিশ্বাস করে তারা এদের বিরুদ্ধে। রিজার্ভ খালি করে ওরা আইএমএফের কাছে যেতে বাধ্য হয়েছে। অর্থনীতিকে তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। এর জন্য সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশের মানুষ।

বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ বলে বিএনপি জন্ম নাকি ক্যাটনমেন্টে। আমরা বলতে চাই বিএনপির জন্ম ক্যান্টনমেন্টে হয়নি, আওয়ামী লীগের জন্ম তো ক্যান্টনমেন্টে হয়নি। সে ব্যাপারে আমি কথা বলব না বললে তারা লজ্জা পাবে। আওয়ামী লীগের জন্ম তো গণতান্ত্রিকভাবে হয়েছিল। কেন তারা স্বাধীনতার দুই তিন বছরের মাথায় বাকশাল কায়েম করেছিল। বিএনপি গণতন্ত্র হরণ করেনি, উল্টো শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সেই গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছে। ডাক্তাররা বলেছে বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে হবে। সরকার মানবাধিকার ক্ষুন্ণ করে তাকে আটকে রেখেছে। এর জবাব আওয়ামী লীগকে দিতে হবে।

বিএনপির একদফা দাবি বাস্তবায়ন ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণের দাবীতে চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে ওই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সমাবেশে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকনের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন  বিএনপির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, ঢাকা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটু, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, আজহারুল ইসলাম মান্নান, নজরুল ইসলাম আজাদ, মাহামুদুর রহমান সুমন, কাজী মনিরুজ্জামান মনির, মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভূইয়া, মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন। এছাড়াও জেলা ও মহানগর বিএনপি এবং বিভিন্ন অংঙ্গ সংগঠনের নেতাকমীরা।

Back to top button