সারাদেশ

কুতুবপুরে চাঁদাবাজি’র অভিযোগে যুবলীগ নেতা খালেক মুন্সি গ্রেফতার

 

স্টাফ রিপোর্টার (Somoysokal) ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক মুন্সিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একটি মারামারির ঘটনা’কে কেন্দ্র করে তারা নামে ফতুল্লা থানায় অভিযোগ হয়েছে।

বুধবার (২২ জুন) সন্ধ্যায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ (ওসি) শেখ রিজাউল হক দিপু জানান,

একটি মারামারির ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জানা যায়, চাঁদার দাবীতে বুধবার বেলা ১১ টার দিকে আবুল হোসেন নামক এক সিমেন্ট ব্যাবসায়ীর উপর চাঁদার দাবিতে প্রকাশ্যে মা ও স্ত্রীর সামনে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়েছে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক মুন্সী ও তার লোকজন । এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত খালেক মুন্সীকে সন্ধ্যা সাতটার দিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে দুপুরে হামলার শিকার আহত সিমেন্ট ব্যবসায়ী আবুল হেসেন বাদী হয়ে কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক মুন্সী, আব্দুল মালেক মুন্সীসহ আট জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

জানাযায়, মুন্সিবাগ এলাকায় আবুল হোসেনের একটি সিমেন্ট বিক্রির দোকান আছে। একই এলাকায় যুবলীগ নেতা খালেক-মালেকও সিমেন্টের ব্যবসা করে আসছে। নতুন করে আবুল এলাকায় দোকান দেয়ায় তার কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল এই তারা। এ নিয়ে বাদীকে প্রায় সময় হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বেলা ১১ টার দিকে খালেক মুন্সী ও তার লোকজন আনোয়ার, দেলোয়ার, বাদশা, হিব্রু, কয়লা সাহাবুদ্দিন, ফকির খোকনসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫/৬ জন সন্ত্রাসী হাতুড়ি, লোহার পাইপ, কাঠের টুকরো নিয়ে আবুলের সিমেন্টের দোকানে প্রবেশ করে চাঁদা দাবি করে। সে টাকা প্রদানে অস্বীকার করলে দোকান থেকে রাস্তায় টেনে এনে এলোপাতাড়ি মারধর সহ হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। এ সময় আবুল বাঁচার জন্য আর্তনাত করলে তার মা, স্ত্রীসহ স্বজনেরা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা তাদেরকে পেটায়। হামলার ঘটনাটি উৎসুক একজন মোবাইলে ধারন করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করে দেন। মুহুর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়।

 

ভিডিওতে দেখা যায় খালেক মুন্সী ও তার লোকজন একটি দোকানের সামনের হাঁটু পানির ভিতরে এক যুবক কে মারধর করছে। যুবককে রক্ষার্থে বোরখা পরিহিত এক মহিলা এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করে হামলাকারীরা।

Back to top button