চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনী প্রচারণায় হিরো আলমকে ঘিরে বিতর্ক
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনী প্রচারণায় হিরো আলমকে ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। সমিতির সদস্য না হয়েও ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেলের হয়ে জোরেশোরে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন তিনি। খলনায়ক মিশা সওদাগর বলেন, পেশাগত অভিনয় শিল্পীদের সদস্য হতে বাধা নেই। জবাবে সব সময় ইউটিউবে সরব হিরো আলম জানান, তার যোগ্যতার কোনো ঘাটতি নেই। আর চিত্রনায়িকা রোজিনা বলেন, হার-জিত যাই হোক মিলেমিশে কাজ করতে চান।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সরগরম ঢাকার সিনেমাপাড়ার প্রাণকেন্দ্র এফডিসি। নবীন-প্রবীণের মিলনমেলায় বইছে উৎসবের আমেজ। এরই মাঝে একে অপরকে ঘায়েল করতে প্রার্থীরা বেছে নিয়েছেন নানান কৌশল। যোগ্যদের ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে হিরো আলম ইস্যুতে সমিতির বর্তমান সভাপতি মিশা সওদাগর বলেন, যোগ্যতা অনুযায়ী সবাই শিল্পী সমিতির সদস্য হতে পারবেন।
জাতীয় চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি পদপ্রার্থী মিশা সওদাগর বলেন, বাংলাদেশের কোনো নাগরিক অপরাধে জড়িত না থাকলে এবং আমাদের ক্রাইটেরিয়া অনুযায়ী পাঁচটি ছবিতে উল্লেখযোগ্য চরিত্রে অভিনয় করতে হবে। এই শর্ত যে পূরণ করতে পারবে সে ভোটার হতে পারবেন।
কাজের অভিজ্ঞতার ঝুলি তুলে ধরে পরিচালক সমিতির সদস্য হিরো আলম তার আক্ষেপের কথা জানান। হিরো আলম বলেন, আমার পাঁচটি সিনেমা কমপ্লিট হয়েছে। সেগুলো হলো – মার ছক্কা, সাহসী হিরো আলম, টোকাই, বউ জামাইয়ের লড়াই, নষ্ট আর কষ্ট।
কার্যকরী সদস্য প্রার্থী চিত্রনায়িকা রোজিনা বলেন, নির্বাচনে জয় পরাজয় থাকবেই; ফলাফল যাই হোক বিরোধী শিবিরের সাথে সু-সম্পর্ক বজায় থাকবে।
তিনি বলেন, কে হারল, কে জিতল-এটা নিয়ে মান অভিমান করে বসে থাকি তাহলে মনে হয় না চলচ্চিত্রের উন্নয়ন হবে। নির্বাচনের পর আমরা সবাই মিলে চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য, উন্নয়নের জন্য চেষ্টা করে যাব।