সারাদেশ

বৈঠকের পর পুরোপুরি হকারমুক্ত হয়নি ফুটপাত

ফুটপাতে পণ্য সাজিয়ে বসেন হকাররা। ক্রেতা আকর্ষণে চলে তাঁদের হাঁকডাক। চলে জমজমাট বেচাকেনা। অবৈধ দখলদারদের এমন দৌরাত্মে পথচারীরাই ফুটপাতছাড়া। নারায়ণগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সড়ক, ২নং রেলগেইট, ১নং রেলগেইট, কালির বাজার, পুরান কোর্ট, মীর ঝুমলা সড়কে ফুটপাতের ‘চেনা’ চিত্র এটি। এ সমস্যা নিরসণে হাইভোল্টেজ গোল টেবিল বৈঠক করে জনপ্রতিনিধি-প্রশাসনের কর্মকর্তারা। বৈঠকে সমস্যা নিরসণে এক সুঁরে আওয়াজ তোলেন মেয়র আইভী, সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমান।

তাদের এ ঐক্যের পরদিন নগরীর বঙ্গবন্ধু সড়ক বদলে গেলেও শহরের ২নং রেলগেইট, ১নং রেলগেইট, কালির বাজার, পুরান কোর্ট, মীর ঝুমলা সড়কে হকারদের সেই চিরচেনা দৃশ্য । 

সড়জমিনে দেখা যায়, নগরীর চাষাড়া হতে ২নং রেল গেইট (বঙ্গবন্ধু সড়ক) পর্যন্ত সড়কের দু-পাশের ফুটপাতে শুধু পথচারীদের যাতায়াত দেখা যায়। এই এলাকায় অন্যান্য দিন যেখানে পথচারীরা মূল সড়কে নেমে গন্তব্য পৌছাতেন, সেখানে আজ তারা সাচ্ছন্দে চলছেন ফুটপাতে। তবে ১ ও ২নং রেলগেইট, কালির বাজার, পুরান কোর্ট, মীর ঝুমলা সড়ক এবং শেখ রাসেল পার্ক এলাকায় ফুটপাতে চলছে হকারদের রাজত্ব্য। বলা যায় মেয়ার আইভি, শামীম ওমসান এবং সেলিম ওসমানের মতামতের প্রভাব নগরীর একঅংশে পড়লেও অন্য অংশ আগের মতোই আছে।

এদিকে রোববার (৪ জানুয়ারি)  নাখোশ হকাররা নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁর কাছে ফুটপাতে বসতে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে আকুতি জানান।

এই সময় শামীম ওসমান বলেন, ‘আমাকে চিন্তা করতে দেন, দেখি কী করা যায়। হকার যদি বসে তাহলে সব জায়গায় বসবে। আর উঠলে সব উঠবো। সব না উঠলে আপনারা কেন উঠবেন? সব উঠার পরেও যে সমস্ত লোকগুলি আমার এলাকায় কাজ করছে, বিভিন্ন সময় মারধর খাইছে, আমি চেষ্টা করমু তাদের জন্য আলাদা কিছু করার।’

নগর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পথচারীদের সঙ্গে হকারদের সামাজিক ও আর্থিক সম্পর্ক আছে। হকাররা নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের পণ্যের জোগান দেন। হকারদের পরিবারও এর আয় থেকে চলে। তাই এবারের গোল টেবিলের বৈঠকের সিদ্বান্ত কত দিন টেকে, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে অনেকের।

উল্লেখ্য, গত শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের হকার সমস্যা ও যানজট নিরসনে গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব এ গোল টেবিল বৈঠকের আয়োজন করে। 

Back to top button