রাজনীতি

যুবদল নেতাকে হত্যা : আ. লীগ ও বিএনপির পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

সিরাজগঞ্জ সদরে ইউনিয়ন যুবদলের এক নেতাকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পক্ষ থেকে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ উঠেছে।

আজ বৃহস্পতিবার উভয় দলের নেতারা সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন। এর আগে বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বেলকুচি উপজেলার রান্ধুনীবাড়ি হাটখোলায় সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক আলী আকবরকে মাথায় গুলি হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

আজ দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

 

সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট কে এম হোসেন আলী হাসান বলেন, ‘বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল কবীর রিজভী বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে যুবদল নেতা আলী আকবর খুনের ঘটনায় স্থানীয় সয়দাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও সিরাজগঞ্জ-২ আসনের এমপিকে দায়ী করে মিথ্যাচার করেছেন। যুবদল নেতা পরকীয়ার কারণে খুন হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। অথচ রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য এবং আওয়ামী লীগকে হেয় করতে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যাচার করছে বিএনপি। আমরা বিশ্বাস করি, প্রশাসনের সুষ্ঠু তদন্তে প্রকৃত অপরাধী বেরিয়ে আসবে। ‘

বিএনপি নেতা রুহুল কবীর রিজভীর দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে হাসান আলী বলেন, অন্যথায় মিথ্যাচারের  অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার, সিরাজগঞ্জ-২ আসনের এমপি ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না, পৌর মেয়র আব্দুর রউফ মুক্তাসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে একই ঘটনায় দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি।

সংবাদ সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, ‘যুবদল নেতা আলী আকবর আততায়ীর গুলিতে খুন হয়েছে। আমরা এখনো হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ জানতে পারিনি। ‘ এ সময় তিনি প্রশাসনের সুষ্ঠু তদন্তে প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করে শাস্তি দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সহসভাপতি অমর কৃষ্ণ দাস ও জেলা যুবদলের সভাপতি আব্দুল জব্বার বাবুসহ বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে সদর থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে পরিবারের কাছে নিহত আলী আকবরের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। বাদ আসর সয়দাবাদ ইউনিয়নের সারটিয়া মাদরাসা মাঠে জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করেছেন স্বজন ও দলীয় নেতাকর্মীরা।

অন্যদিকে বেলকুচি থানার ওসি গোলাম মোস্তফা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত যুবদল নেতা আলী আকবর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানায় কোনো মামলা হয়নি। এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করাও সম্ভব হয়নি। রাজনীতি, ব্যক্তিগত, সামাজিকসহ বেশ কয়েকটি ইস্যু সামনে রেখে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

Back to top button