রাজনীতি

নবগঠিত ফতুল্লা থানা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন !

স্টাফ রিপোর্টার (Somoysokal) নারায়ণগঞ্জ জেলা ফতুল্লা থানার নবগঠিত থানা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা।

রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারী) দুপুর ১২ টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের প্রেক্ষিতে সাংসদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকা বিএনপি নেতারা বলেন, দলের ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে অমানুষিকভাবে যে কমিটি গঠন করা হয়েছে। তার বিষয়ে আমরা দলের হাইকমান্ড ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি তাদের সিদ্ধান্ত জানার পর আমাদের পরবর্তী কর্মসূচী আপনাদের জানিয়ে দিবো সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে।

এসময় বিএনপি নেতারা আরও বলেন, নবগঠিত ফতুল্লা থানা বিএনপির কমিটি বাতিলের জোর দাবী জানাচ্ছি। থানা কমিটি বিলুপ্ত করতে হলে আগে জেলা কমিটি বিলুপ্ত করতে হবে। আওয়ামীলীগের এজেন্ডা হিসাবে যারা কাজ করছে তারাই মূলত টাকার বিনিময়ে কমিটি বানিজ্য করছে। তাদের বিরুদ্ধে আমরা হাইকমান্ডে অভিযোগ করেছি এখন অপেক্ষায় আছি দলের মহাসচিব ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কি নির্দেশনা দেয়।

সংবাদ সম্মেলনে ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে যা বলে তা হুবহু নিচে তুলে ধরা হলো।

প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা, আপনারা জাতির বিবেক, সমাজ দর্পণ। যা কিছু অসঙ্গতি, যা কিছু অন্যায়, তা বস্তুনিষ্ঠভাবে জাতির সামনে তুলে ধরে ন্যায় সঙ্গত বিষয়ের পক্ষে জনমত সৃষ্টির অন্যতম সহায়ক শক্তি। রাষ্ট্রের চতুর্থ দ্বন্ত সংবাদ মাধ্যম। কোনো মানুষের যখন অন্য কোথাও যাওয়ার জায়গা থাকে না, তখন শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে চতুর্থ স্তম্বের কাছে ছুটে আসেন। আমরা তেমনই নিরুপায় হয়ে আপনাদের স্মরণাপন্ন হয়েছি।

তবে, এখানে আমরা কেউ ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশ্য নিয়ে হাজির হইনি। আমরা এসেছি, আমাদের প্রাণের প্রিয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিকে ধ্বংস করার যে ষড়যন্ত্র চলছে, তার থেকে দলকে রক্ষা করতে, আপনাদের সাহায্য প্রার্থনায়। আপনারা অনেকেই জানেন, আমাদের এই দলটি দীর্ঘ পনের বছর ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। অপ্রিয় হলেও সত্য, এমন পরিস্থিতিতেও আমাদের দলের কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করার লক্ষ্যে এবং বিএনপিকে ধ্বংস করার খেলায় ক্ষমতাসীনদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের সারথী হয়ে, তৃণমূল পর্যায়ে বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করার হীন চক্রান্ত শুরু করেছে।

প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা স্বাধীনতার মহান ঘোষক, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা। তার সহধর্মীণি, বাংলাদেশের তিন বারের সফল প্রধানমন্ত্রী মাদার অব ডেমোক্রেসি পদকে ভূষিত বেগম খালেদা জিয়া। আপনারা অবগত আছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ভোটের অধিকার ফিরেয়ে আনার আন্দোলনে আপসহীন একজন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। যাকে বাংলাদেশের মানুষ ভালোবেসে শ্রদ্ধার সাথে ডাকেন ‘দেশনেত্রী’। আপহসহীন নীতির কারণে দীর্ঘ দুই বছর তাকে কারারুদ্ধ করে রেখেছিল বর্তমান সরকার। পরবর্তীতে তিনি জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকলেও এই সরকার তার উন্নত চিকিৎসার্ভে বিদেশ গমণের অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আপনারা আরও জানেন, এক এগারর মঈনউদ্দিন ও ফখরুদ্দিন সরকারের চরম নির্যাতনে জিয়াউর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র আরাফাত রহমান কোকোর অকাল প্রয়াণের বিষয়টি। এছাড়াও আমাদের দলের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের ওপরও অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছিল ওই এক এগারর সরকার। পরবর্তীতে তিনি উন্নত চিকিৎসাতে লন্ডনে গেলে বর্তমান সরকার তার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের ও ফরমায়েশি রায়ে তার বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করে। গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করে। যে কারণে তাকে বাধ্য হয়ে লন্ডনে অবস্থান করতে হচ্ছে। এই সরকার কোনো ভাবেই চাচ্ছে না, জনাব তারেক রহমান দেশে ফিরে আসুক। বিএনপিকে ধ্বংস করারও পাঁয়তারা করছে তারা। তাদের এই ষড়যন্ত্রের সাথে স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ের কিছু ব্যক্তি বিশেষও জড়িত। যারা বিএনপিকে সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী করার বদলে দিনকে দিন দুর্বল, ভঙ্গুর অবস্থায় নিয়ে যাচ্ছে।

এরা জনাব তারেক রহমানের নির্দেশনাও আমলে নিচ্ছেন না। এদের হাত থেকে এদের বিরুদ্ধে প্রকৃত বিএনপির নেতাকর্মীদের সজাগ করার উদ্দেশ্যেই আজকের এই সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন। আপনাদের ঘুরধার লেখনির মাধ্যমে দেশব্যাপী প্রকৃত জিয়ার সৈনিকদের মাঝে আমরা এই বার্তাটুকু পৌঁছাতে চাই। এ জন্য আপনাদের সাহায্য, সহযোগিতা প্রত্যাশি

প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা আপনারা জানেন, কাজী মনিরুজ্জামান মনির ও মামুন মাহমুদের নেতৃত্বাধিন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক ব্যর্থতার কারণে বিলুপ্ত করে কেন্দ্রীয় কমিটি। এরপর বেশ কিছুদিন এখানে কোনো কমিটি ছিল না। পরবর্তীতে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশক্রমে, জেলা বিএনপিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ২০২০ সালের ২৯ ডিসেম্বর ৪১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। যা পরবর্তীতে ৪২ সদস্যে উন্নীত করা হয়। গঠনতন্ত্র মোতাবেক এই কমিটির মেয়াদ ৯০দিন হলেও এক বছরের অধিক সময়ে জেলার অন্তর্গত ৫টি পৌরসভা ও ৫টি থানা বিএনপির কমিটি গঠন করে সম্মেলনের ব্যবস্থা করতে পারেনি তারা। সে হিসেব মতে, দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ি এই আহ্বায়ক কমিটি অবৈধ এবং তাদের কার্যক্রমও অবৈধ।

উল্লেখ্য, পূর্বের কমিটির বার্থ সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদকে অদৃশ্য কোনো শক্তির ইশারায় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব করা হয়। তিনি বরিশাল অঞ্চলের একজন বাসিন্দা হিসেবে যখন সিদ্ধিরগঞ্জে আসেন তখন থেকেই সাত খুনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নূর হোসেনের আশ্রয়ে ছিলেন। এই খুনীর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে এখনও সে পরিচিত।

প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার পর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান ভার্চুয়ালি সভায় নারায়ণগঞ্জের সাবেক এমপি, বিএনপির সিনিয়র জুনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এই বৈঠক থেকে তিনি শক্তিশালী কমিটি গঠনের লক্ষ্যে দশটি সার্চ কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রদান করলে পরবর্তীতে দশটি সার্চ কমিটি গঠন করা হয়। একই সাথে সাবেক এমপিদের পরামর্শক্রমে এবং সকলের সাথে আলোচনা করে, সব রকম বিরোধ মিটিয়ে নবীন প্রবীন সমন্বয় কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু জনাব তারেক রহমানের সেই নির্দেশনা পাশ কাটিয়ে গেছেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মামুন মাহমুদ। আমরা ধারণা করছি, তিনি তার ব্যক্তি স্বার্থ, কমিটি বাণিজ্য করার লক্ষ্যে এবং সরকারি দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে জনাব তারেক রহমানের নির্দেশনাকেও আমলে নেননি। যে কারণে সার্চ কমিটির প্রতিবেদন আমলে না নিয়ে এবং সাবেক এমপিদের সাথে কোনো আলোচনা না করে ও বিভিন্ন থানা পৌর এলাকায় নেতাকর্মীদের বিরোধ না মিটিয়ে উল্টো আরও বিরোধ উচ্চে নিয়ে এবং দলের ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাকর্মীদের মাইনাস করে বিতর্কিত, আওয়ামী লীগ পরিবারের লোকজনদের দিয়ে কমিটি গঠন করেছেন।

আপনারা পত্রিকান্তে জেনে থাকবেন যে, জেলা বিএনপির অন্তর্গত ৫টি থানা ও ৫টি পৌরসভা কমিটি গঠনের পর থেকে বিভিন্ন স্থান থেকেই ক্ষোভ প্রকাশ, বিক্ষোভ করা হয়েছে। আড়াইহাজারে ইতোপূর্বে এ ঘটনায় বিদ্রোহ করে মামুন মাহমুদ ও নজরুল ইসলাম আজাদের কুশপুত্তলিকাও দাহ করা হয়েছে। সর্বশেষ আড়াইহাজারে পকেট কমিটি গঠনের অভিযোগে, বিএনপি থেকে ৯ জন ত্যাগী নেতা পদত্যাগ করেছেন এবং মামুন মাহমুদের প্রতি অনাস্থাও এনেছেন। শুধু আড়াইহাজার অঞ্চলের তিনটি কমিটিই নয়, একইভাবে রূপগঞ্জ, সোনারগাঁ, সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা কমিটিও গঠন করা হয়েছে, এসব কমিটি গঠনে কারো মতামতকে তোয়াক্কা করা হয়নি। মানা হয়নি জনাব তারেক রহমানের নির্দেশনাও। এমনকী গঠিত সার্চ কমিটির প্রতিবেদনে কী ছিল, তা জেলা বিএনপির অন্যান্য সদস্যদের সম্মুখ্যে উপস্থাপন করে, কোনো মতামত গ্রহণ করা হয়নি।

হিস সাংবাদিক ভাইয়েরা, আমরা বিএনপি প্রতিষ্ঠাকালিন সময় থেকে অদ্যবধি জিয়ার আদর্শকে বুকে ধারণ করে, জেলজুলুম, অত্যাচার, নীপিড়ন সহ্য করে ফতুল্লা অঞ্চলে এই দলের ঝান্ডা উড়িয়ে আসছি। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, মামুন মাহমুদ নিজ স্বার্থ রক্ষায় এবং একজন শিল্পপতির ইচ্ছেপূরণের লক্ষ্যে, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক তৈমুর আলম খন্দকারের সুযোগে, রূপগঞ্জ তারাবো পৌরসভার তৃতীয় শ্রেণির একজন নেতাকে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক দেখিয়ে, তড়িগড়ি করে ফতুল্লা থানায় ৩১ সদস্য বিশিষ্ট বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন করেন। এখানে বিএনপির নির্যাতিত, নীপিড়িত, ত্যাগী নেতাকর্মীদের মাইনাস করে ওই শিল্পপতির ২৮ জন লোককে স্থান দেওয়া হয়েছে। যারা বিগত পনের বছর যাবৎ বিএনপির কোনো মিটিং মিছিলতো দূরের কথা, দলীয় কোনো কর্মসূচিতেও অংশগ্রহণ করেনি। এমনকী যাদেরকে এই কমটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে তাদের সাংগঠনিক কোনো ভিত্তিও নেই। এছাড়াও এমন কিছু ব্যক্তিকে এখানে স্থান দেওয়া হয়েছে, যারা তখনই কোনো ওয়ার্ড পর্যায়ে নেতৃত্ব দেয়নি। শুধু তাই নয়, এই কমিটিতে ওই শিল্পপতির কর্মচারি, শ্বশুর বাড়ির আত্মীয় স্বজনদেরকেও স্থান দেওয়া হয়েছে।

এখানে উল্লেখ্য থাকে যে, ওই শিল্পপতি শাহ আলম, তিনবছর পূর্বে স্বেচ্ছায় বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেছেন। তবে দল থেকে তিনি পদত্যাগ করলেও তার তল্পিবাহক হিসেবে, তার আজ্ঞাবহ হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন মামুন মাহমুদ। পর্দার আড়াল থেকে ওই শিল্পপতি যে নির্দেশ দিচ্ছেন, সেই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করছেন মামুন মাহমুদ। যা দলের স্বার্থ বিরোধী বলেই প্রতীয়মান হয়েছে।

আমরা জিয়ার সৈনিকেরা দলের এমন স্বার্থ বিরোধী সিদ্ধার জীবদ্দশায় মেনে নিতে পারবো না। যে কোনো মূল্যে হোক, এ রুখে দাঁড়াতে চাই।

প্রিয় সাংবাদিক ভাইয়েরা, বিএনপির ভার্যাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান এবং মহাসচিব জনাব খরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের কাছে আমাদের অনুরোধ, তারা যেন অনতিবিলম্বে দলের স্বার্থ বিরোধী এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। অন্যথায় আগামীতে নারায়ণগঞ্জ বিএনপিকে কোনোভাবেই শক্তিশালী সাংগঠনিক জেলা হিসেবে প্রস্তুত করা সম্ভব হবে না। আমরা চাই, গঠনতন্ত্র মোতাবেক জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি অবৈধ। এই কমিটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হোক এবং এই কমিটি প্রশস্ত ঘোষিত কমিটিগুলোকেও অবৈধ ঘোষণা করা হোক। দলের বৃহত্তম স্বার্থের কথা বিবেচনা করে এখনই যদি বিতর্কিত এসব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা না যায় তবে, রাজধানীর পাশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নারায়ণগঞ্জ জেলাতে বিএনপিকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করা সম্ভব হবে না। এমন অবস্থা চলমান থাকলে এখানে বিএনপির সাংগঠনিক অবস্থা মুখ থুবড়ে পড়বে।

আমরা জিয়ার আদর্শের সৈনিক হিসেবে, আমাদের প্রাণের এই দলটির সাংগঠনিক ব্যবস্থা চোখের সামনে অতলে হারিয়ে যেতে দিতে পারি না। দলের বৃহত্তম স্বার্থে এবং আমাদের আগামী রাষ্ট্রনায়ক, তারুণ্যের আহব্বার জনাব তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে এবং আমাদের মাতৃতুল্য মানা অব ডেমোক্রেসি’ পদকে ভূষিত বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করার স্বার্থে, বিএনপিকে সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে মামুন মাহমুদ গং দ্বারা গঠিত সকল কমিটি বিলুপ্ত করতে হবে। অন্যথায় দলের স্বার্থে আমরা কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো।

এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার মনিরুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম, সাবেক সহ-সভাপতি সুলতান মাহমুদ মোল্লা, জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শহীদুল্লা, ফতুল্লা থানা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর হোসেন, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. বিল্লাল হোসেন সহ থানা ও বিভিন্ন ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

Back to top button