লাইফস্টাইল

আত্মহত্যার ঝুঁকি কাদের বেশি? প্রতিরোধে করণীয়

যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত দেশে আত্মহত্যার প্রবণতা সবচেয় বেশি। ২০১৬ সালে দেশটিতে ৪৫ হাজার মানুষ আত্মহত্যা করেছেন। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশেও বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা। তবে এই আত্মহত্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব।

মানুষ মূলত হতাশা থেকেই আত্মহননের পথ বেছে নেয়। কয়েকটি লক্ষণ দেখে বোঝা সম্ভব কেউ ওই পথে এগোচ্ছো কি না।

 

কেউ যদি আত্মহত্যার হুমকি দেয় তবে তাকে ছেড়ে দিবেন না। প্রয়োজনে ৯৯৯ এ কল করুন। এক্ষেত্রে সেই ব্যক্তিকে চেষ্টা করুন যতটা সম্ভব শান্ত রাখার, প্রয়োজনে অন্যের সাহায্য নিন।

সতর্কবার্তা:

যারা সুইসাইড করে তারা কখনেই মরে যেতে চায়না। তারা কষ্ট থেকে মুক্তি চায় আর এজন্যই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। কোন ব্যক্তির মধ্যে আপনি যদি এমন কোন লক্ষণ দেখেন তাহলে নিজের ক্ষতি ভেবে পিছিয়ে আসবেন না, সাহায্য করুন।

মৃত্যুকে গুরুত্ব দেওয়া:

কেউ কেউ আত্মহত্যা করার বিষয়ে খোলাখুলি কথা বলে। তারা অনেকসময় আত্মহত্যার মাধ্যম হিসেবে বা বন্দুক, ছুরি বা ওষুধ কীভাবে কেনা যায় তা নিয়ে গবেষণা করতে পারে।

পরিকল্পনা করা:

কোন ব্যক্তি যদি মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করে তবে নানা পদক্ষেপ নিতে পারে। যেমন একটি উইল করা, জিনিসপত্র দেওয়া, অন্যদের বিদায় জানানো। কেউ কেউ সুইসাইড নোট লিখতে পারে।

এড়িয়ে চলা:

ব্যক্তি ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধব এবং পরিবার এড়িয়ে চলে, কার্যকলাপ এবং সামাজিক ইভেন্টগুলিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে এবং বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

হতাশ:

এমন মানুষদের দেখতে খুব হতাশ লাগে। ব্যক্তিটি অসহ্য যন্ত্রণাবোধ করে আর এমনভাব করতে থাকে যেনো সবার কাছে সে বোঝা হয়ে আছে।

ঘুমের মধ্যেও মুড সুইং:

প্রায়শই, ব্যক্তিকে বিষণ্ণ, উদ্বিগ্ন, দুঃখিত বা রাগান্বিত হতে দেখা যায়। তারা খুব খিটখিটে, মেজাজী, বা আক্রমণাত্মক হতে পারে। কিন্তু আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে তারা হঠাৎ শান্ত হয়ে যায় এবং  স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি বা অনেক কম ঘুমাতে পারে।

অ্যালকোহল গ্রহণ করা:

এই পরিস্থিতিতে মানুষ বেশি অ্যালকোহল গ্রহণ করে। প্রচুর ওষুধ এবং অ্যালকোহল ব্যবহার ব্যক্তিকে নিস্তেজ করে দেয়।

বেপরোয়া আচরণ:

অনেকে সময়  বেপোরোয়া ভাবে অনেককে গাড়ি চালাতে দেখা যায়। সেক্ষেত্রে বিষয়টি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

যাদের ঝুঁকি বেশি:

•মানসিক ভারসাম্যহীন

• অ্যালকোহল বা অন্যান্য মাদকের আসক্তি

•গুরুতর শারীরিক অসুস্থতা

• একটি বড় ক্ষতি (যেমন প্রিয়জনের মৃত্যু বা সম্পর্ক থেকে বিচ্ছেদ বা চাকরি হারানো)

• গুরুতর আইনি বা আর্থিক সমস্যা

• আঘাত বা অপব্যবহারের ইতিহাস

যেভাবে সাহায্য করা যায়:

এই লক্ষণগুলোকে গুরুত্ব দিন। তাহলে আপনি চাইলে একজনের জীবন বাঁচাতে পারবেন। প্রয়োজনে হেল্পলাইন বা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে পারেন। কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্থা করুন।

Back to top button