অপরাধ

শামসুরের নামে অপকর্মের পাহাড় সমান অভিযোগ

শামসুরের নামে অপকর্মের পাহাড় সমান অভিযোগ

 

বিশেষ প্রতিনিধি (Somoysokal) শামসুর অপকর্মের অভিযোগের পাহাড় জমা পূর্বাঞ্চলের উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের কাছে অদৃশ্য কারনেই নেন না কোন ব্যাবস্থা।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সেতু বিভাগের উপ সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামসুর রহমানের বিরুদ্ধে, ঠিকাদারের সাথে কমিশন বাণিজ্য, রেলের মালামাল ও তেল চুরি করে বিক্রির মাধ্যমে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ, অডিট আপত্তি না মানা, ঠিকাদারের সাথে আঁতাত করে রেলের সম্পদের ক্ষতি সাধন,  বিভিন্ন স্টেশনের স্ক্রাপ টেন্ডার না করেই বিক্রি করে ফেলা সহ রয়েছে বিস্তর অভিযোগ।  এ-ই সব অভিযোগই আবার পূর্বাঞ্চলের উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ আকারে দেয়া আছে। দিন থেকে মাস, মাস থেকে চলে যায় বছরের পর বছর কিন্তু উদ্ধর্তন কর্মকর্তাই তার বিরুদ্ধে  প্রতিবার ব্যাবস্থা নেয়ার যে আশ্বাস দেন কোন এক অদৃশ্য শক্তির কারণে সেটি আশ্বাসই রয়ে যায়। নেন না তার বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থ। আর এ-ই ব্যাবস্থা না নেয়ার কারনে তিনি এখন হয়ে উঠেছে পূর্বাঞ্চলের সেতু বিভাগের অঘোষিত রাজা। পদের দিক থেকে ছোট হলেও অনিয়মের দিক থেকে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অনেকর থেকে এগিয়ে তিনি। কমিশন পেলেই  তিনি করতে পারেন না এমন কোন কাজ নেই, তাতে রেলের লাভ লোকসান যাই হোক না কেন।
দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের জন্য দিনের পর দিন নষ্ট হচ্ছে রেলওয়ের সোনালী অর্জন, তারমধ্যে সামসুর রহমান অগ্রভাগের একজন। । মো. সামসুর রহমান, সে এখন অফিস করে পাহাড়তলী ঝাউতলা টিউবওয়েল অফিসে।

বেশ কিছু  ঠিকাদারদার এবং রেলওয়ের কর্মচারীদের  মিলিত একটি অভিযোগ আসে দৈনিক ৭১ সংবাদ এর অফিসে। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের সাথে কথা বললে তারা জানান,  রেলওয়ের প্রয়োজনে যদি কোন কাজ করার প্রয়োজন হলে তখন গুটি কয়েক দুর্নীতিবাজ ঠিকাদারদের সাথে সিন্ডিকেট করে তাদের কাজ পাইয়ে দেন তিনি এবং তাদের থেকে কাজ অনুযায়ী ৩% থেকে ৫% শতাংশ কমিশন, আবার ক্ষেত্রবিশেষ তা  ১০% শতাংশও হয়ে থাকে, আবার এ-ই দুর্নীতিবাজ ঠিকাদারদার  সিন্ডিকেটের বাইরে কেউ যদি ভাগ্যক্রমে কোন কাজ পান তাহলে সেই ঠিকাদারদার কে ও দিতে হয শামসুর নির্ধারিত কমিশন। আর ঠিকাদার কমিশন  না দিলে বিভিন্ন অজুহাতে তাকে হয়রানি করে ঠিকমত কাজ করতে দেয় না এ-ই শামসুর, আবার শামসুর নির্ধারিত কমিশনের টাকা পেলেই যেনতেন করে কাজ আবার অনেক ক্ষেত্রে অধের্ক কাজ করে করেও পুরো বিল  তোলার ব্যবস্থা করে দেন বলে জানান অভিযোগকারী ঠিকাদারা।

ঝাউতলা টিউবওয়েল অফিস, বাউন্ডারি ও গোডাউন মেরামতের ও সংস্কার করার টেন্ডারের কাজটি পান ঠিকাদার জাহাঙ্গীর আলম নামক একটি প্রতিষ্ঠান।ঝাউতলা অফিস, গোডাউন ও বাউন্ডারি নির্মাণে অনিয়ম ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় আপত্তি তোলে অডিট টিম, সিসি বিল না দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল, কিন্তু সেই আপত্তিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে ২টি কাজের বিপরীতে ৫১ লাখ টাকা সিসি বিল উত্তোলন করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ আছে। এছাড়া কম্প্রেশার মেশিন ঠিক করার নামে কাজ না করেই মোটা অংকের টাকা তুলে আত্মসাৎ করেছে।
আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে আস্থায়ী লোক নিয়োগে বিশাল এক  অনিয়ম ধরা খাওযার পর ও উদ্ধর্তন কর্মকর্তারা তার বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা নেন নি বলে জানানঅভিযোগকারীরা।

গত ২৩/২/২১ সালে শামীম এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ভুয়া প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে গোপনে প্রায় ১১ টন ওজনের ৩টি হেড রিজার্ভ টাংকি বিক্রি করে পুরো টাকাই আত্মসাৎ করেছে যা গত ২৩/২/২১ সালে এক পত্রের মাধ্যমে ফেরৎ দিতে বলা হলেও এখনো ফেরৎ দেওয়া হয় নি। ১১ টন ওজনের ৩টি হেড রিজার্ভ টাংকি পাহাডতলী ডিপোতে জমা আছে কিনা ডিপো  ইনচার্জ গোলাম রাব্বানীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন স্যারদের বারন আছে কিছু বলা। উনাকে স্যারদের অনুমতি নিযে বলার জন্য অনুরোধ করলেও তিনি তা করেন নি। তবে সংশ্লিষ্ট অনেকেই বলছেন বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন, ফেরৎ আনা নাটকের আর্ভিবাব ঘটিয়েছেন মাত্র।

গত বছর ৮/০৯/২০২২ইং  জাকির হোসেন (তথ্য মতে জাকির হোসেন চসিক এর কালো তালিকাভুক্ত ঠিকাদার) কে প্রাপক দেখিযে লাকসাম স্টেশন থেকে অবমুক্ত পুরাতন অনুপযোগী লোহার স্কাপ এর টুকরো  এস এস এ-ই /সেতু/চট্টগ্রাম গোডাউনে জমার জন্য রোড পাশ দেন শামশুর রহমান।  কিন্তু অনুসন্ধানে দেখা যায লোহার স্কাপ এর টুকরো এখনো এস এ-ই /সেতু/চট্টগ্রাম গোডাউনে জমা হই নি। এ-ই স্কাপ এর টুকরো গুলোও গতবারের প্রায় ১১ টন ওজনের ৩টি হেড রিজার্ভ টাংকির মতো ডিপোতে জমার আগেই বিক্রি করে দেন শামশুর রহমান।

২০২২ সালের অক্টোবরে নোয়াখালী ষ্টেশনের ৪ ট্রাক মালামাল বিক্রি করে দেন এ-ই শমশুর।

শামসুর রহমান এর বিরুদ্ধে ৩, ৪ মাস আগে বেশ কিছু পত্র পত্রিকায় লেখালেখি হওয়ার পর তখন  রেলওয়ে পুর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর মিয়া বলেভহিলেন  ওর (সামসুর রহমান) ব্যপারে বেশকিছু অভিযোগ আছে বলে শুনেছি, আমি খবর নিয়ে দেখি, যদি এসব অপকর্মের সাথে জড়িত থাকে দ্রুত ব্যাবস্তা নিব।

এতোমাস যাওয়ার পরও সামসুর রহমান এর বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্তা নেন নি পুর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী এবং  পুর্বাঞ্চলের জি এম।

প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা শত চেস্টায় ও  রেলওয়ের এ-ই সব কিছু দুর্নীতিবাজ কমর্কতারও  দুর্নীতিমুক্ত করা যাচ্ছে না রেলওয়েকে আর এর কারনেই  রেলওয়ে আজ হারাচ্ছে তার পুরাতন ঐতিহ্য।

Back to top button