অপরাধ

বন্দরে খান মাসুদের নামে চলে ড্রেজার পাইভ এলাকাবাসীর দূর্ভোগ-যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় দূর্ঘটনা

স্টাফ রিপোর্টার (Somoysokal) নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার বন্দর ইউনিয়নের কাইকারটেক বিবিজোরা ব্রিজের সানমে অবৈধ ড্রেজার পাইপ লাইন চলে যুবলীগ নেতা খান মাসুদের নামে। এই ড্রেজার পাইপ লাইনে এলাকাবাসীর অনেক দূর্ভোগ সৃষ্টি হয়। টুকটাক দূর্ঘটনা সবসময়ই ঘটে, যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা।

এবিষয়ে বন্দর উপজেলার ইউএনও বি.এম. কুদরত-এ-খুদা বলেন, অবৈধ ড্রেজার পাইপ বসানো এবং রাস্তার উপরদিয়ে পাইপের লাইন টানা বন্ধের অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। ইতিমধ্যেই অনেকগুলো অবৈধ ড্রেজার পাইপ লাইন উচ্ছেদ করে দিয়েছি। আমি আসার পর অবৈধ ড্রেজার পাইপের বিষয় নিয়ে কাজ করছি। এর আগে কেউ এই বিষয়ে কাজ করেনি আমিই প্রথম অবৈধ ড্রেজার পাইপ উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। আমি অভিযান চালানোর সময় কাউকে জিজ্ঞেস করি নাই কোনটা কোন নেতার ড্রেজার পাইপ লাইন। যত বড় ক্ষমতাবানই হোক না কেনো অবৈধ কাজ কেউ করতে পারবে না। অবৈধ ড্রেজার পাইপ লাইনের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে চলবে, অনেকগুলো উচ্ছেদ করেছি বাকিগুলোও উচ্ছেদ করে দিবো।

কাইকারটেক বিবি জোরা ব্রিজের সামনে রাস্তার উপর দিয়ে যুবলীগ নেতা খান মাসুদের ড্রেজার পাইপ লাইন টানার বিষয়ে এলাকাবাসী বলেন, ওরা প্রশাসনের চাইতেও ক্ষমতাবান বেশি তাই ইউএনও এসে এই ড্রেজার পাইপ লাইন উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিলেও তারা এর তোয়াক্কা করেনা। তাই এখনও ড্রেজার পাইপ লাইন ঐভাবেই আছে সাধারণ মানুষের দূর্ভোগ কমে নাই। এই ড্রেজার পাইপ দেখাশোনা করেন যুবলীগ নেতা খান মাসুদের খালাতো ভাই নামিদ। এই ড্রেজার পাইপ দেখাশোনার জন্য নাদিম সহ যারা দেখাশোনা করে তারা পায় ৫০% আর খান মাসুদ পায় ৫০%। তবে এই বিষয়ে জানার জন্য যুবলীগ নেতার মোবাইল ০১৭১২৬৩৬৪৬৪ এই নাম্বারে একাধিক বার ফোন দিয়েও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তাই যুবলীগ নেতা খান মাসুদের কোনো মন্তব্য তুলে ধরা সম্ভব হয়নি।

অবৈধ ড্রেজার পাইপ লাইনের বিষয়ে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, অবৈধ ড্রেজার পাইপ লাইন উচ্ছেদের বিষয়ে উপজেলা ইউএনও ও এসিল্যান্ড মহোদয় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান চালিয়েছে তাই এই বিষয়টি আমার জানা নাই। কিন্তু অভিযানে যদি পুলিশ প্রয়োজন হয় আমরা দেয়।

অবৈধ ড্রেজার পাইপের বিষয়ে বন্দর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এহসানউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, আমার ইউনিয়নে বেশ কয়েকটি ড্রেজার পাইপের লাইন আছে এগুলো প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে করে কিনা জানিনা। আমি এর আগে শুনেছিলাম উপজেলা প্রশাসন অবৈধ ড্রেজার পাইপ লাইন উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে। প্রশাসন যদি ড্রেজার পাইপ লাইন চালাইতে নাদেয় তাহলে কেউ চালাইতে পারবে না। আমি খবর নিয়েছি এই ড্রেজার পাইপ রাস্তার উপর দিয়ে নেওয়ার কারণে এলাকাবাসীর অনেক সমস্যা হয় এবং প্রায় সময় দূর্ঘটনাও ঘটে। প্রশাসনের সাথে আমিও একমত অবৈধ ড্রেজার পাইপ উচ্ছেদ করে দেওয়া হোক।

Back to top button