যে কারণে আইনজীবী সমিতিতে মোহসীন-মাহবুবুরের নাম চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে
স্টাফ রিপোর্টার (Somoysokal) নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৮৩ সালে। স্থাপিতকাল থেকে এ যাবত কাল পযন্ত আইনজীবী সমিতিতে বহু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব পালন করেছেন কিন্তু এড. মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া ও এড. মাহবুবুর রহমান এর মতো বিশ্ব মহামারী মোকাবিলা করে আইনজীবীদের পাশে থাকার সুযোগ কেউ পাইনি। সারা বিশ্ব যখন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে কাঁপছিলো ঠিক তখনই জীবনের মায়া ত্যাগ করে দাড়িয়েছেন সাধারণ আইনজীবীদের পাশে।
এড. মোহসীন-মাহাবুবুর, (২০১৯-২০) ইং সনে আইনজীবী সমিতির দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই খুব দ্রুত গতিতে ডিজিটাল বার ভবন নির্মাণ কাজ করে একতলা সম্পূর্ণ করে আইনজীবীদের বসার জন্য সুব্যবস্থা করে দেন। এর পর সারাবিশ্বে এক অদৃশ্য শক্তি হানা দেয় যার নাম করোনা ভাইরাস। তখন সারাবিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ পরিস্থিতি। এসময় প্রায় সকল পেশার মানুষ এক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে জীবনযাপন করে। নারায়ণগঞ্জ জেলার আইনজীবীরাও কঠিন সময় মোকাবেলা করে। করোনা ভাইরাসের কারণে আদালত বন্ধ ছিলো গুটি কয়েক আইনজীবী ছাড়া প্রায় সবাই এক মহা বিপদে জীবনযাপন করছিলো। ঠিক তখন জীবনের মায়া ত্যাগ করে করোনা ভাইরাসের কারণে অসুবিধা থাকা পতিটি আইনজীবীর বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের খোঁজ খবর নিয়ে পাশে দাড়িয়েছেন এড. মোহসীন-মাহবুবুর। আইনজীবী সমিতির পক্ষে থেকে আর্থিক সুবিধাসহ সকল ধরনের সহযোগিতা করেছেন বিপদগ্রস্ত আইনজীবীদের।
তাছাড়া এড. মোহসীন-মাহবুবুর নারায়ণগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গণ থেকে অসংখ্য ভুয়া আইনজীবী শনাক্ত করা হয়েছে এবং সমিতির পক্ষ থেকে এদের বিরুদ্ধে যথযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে নারায়ণগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গনে টাউটদের সংখ্যা আগের তুলনায় কমেছে। দেখলে বোঝার কোনো উপায় নেই তারা কারা। তবে তাদের দেখে বিভ্রান্ত হন আদালতে বিচার চাইতে আসা সাধারণ বিচারপ্রার্থীরা। প্রতারকরা সাধারণ বিচারপ্রার্থীদের টার্গেট করে মামলার কাগজপত্র নিয়ে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করে। আদালত চত্বরগুলোতেও এদের ভিড় লেগেই থাকে। এ প্রতারকদের ধরতেই আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে টাউট উচ্ছেদ করেছে।তবে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে টাউট উচ্ছেদ কার্যক্রম বেশ জোরালো ভাবে করেছে এড. মোহসীন মাহবুবুর।
এর পর ২০২০ সাল করোনা ভাইরাসেই কেটে যায়। বছরের শেষের দিকে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে আদালত পাড়া আবার সরগম হতে থাকে এর মধ্যে আইনজীবী সমিতির নির্বাচন চলে আসে। (২০২১-২২) সনের নির্বাচনে পুনরায় বিজয়ী হন মোহসীন-মাহবুবুর এর প্যানেল। এবারও দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই আইনজীবী সমিতির ডিজিটাল বার ভবনের কাজ করেন অতিদ্রুত। ডিজিটাল বার ভবনের দ্বিতীয় তলায় জেলা জজ ও আইনজীবী সমিতি আধুনিক মসজিদ নির্মাণ করে নামাজের জন্য সুব্যবস্থা করে দেন এবং দ্বিতীয় তলায় আইনজীবীদের বসার জন্য সুব্যবস্থা করে দেন। তাছাড়া আইনজীবী সমিতির কোনো সদস্য মৃত্যুবরণ করলে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় সমিতির উদ্যোগে দোয়া মাহফিল আয়োজন করা হয় এবং তাদের দেনাপাওনার বিষয়ে অতিদ্রুত কার্যক্রম শুরু করে।
উল্লেখ্য, এডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া (২০০৮-৯) ও (২০০৯-১০) সনে কার্যকরি সদস্য, (২০১১-১২) আপ্যায়ন ও সমাজ সেবা সম্পাদক, (২০১৪-১৫) ও (২০১৫-১৬) সনে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, (২০১৮-১৯) ও (২০১৯-২০) সনে সাধারণ সম্পাদক এবং (২০২০-২১) ও (২০২১-২২) সনে সভাপতি পদে গুরুত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। যার কারণে আইনজীবী সমিতিতে তার নাম হয়ে থাকবে চিরস্মরণীয়।
এডভোকেট মো. মাহবুবুর রহমান (২০১২-১৩) সনে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক, (২০১৮-১৯) ও (২০১৯-২০) সনে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং (২০২০-২১) ও (২০২১-২২) সনে সাধারণ সম্পাদক পদে গুরুত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। যার কারণে আইনজীবী সমিতিতে তার নাম হয়ে থাকবে চিরস্মরণীয়।