প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে রোল মডেল
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে রোল মডেল
স্টাফ রিপোর্টার (Somoysokal)শেখ হাসিনা আজ একজন মানুষের নামের মধ্যেই সীমিত নেই তিনি আজ একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছেন। আর এ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়ার পিছনে রয়েছে তাঁরই এক বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ইতিহাস। যে ইতিহাসের কথা বলতে গেলে প্রথমেই বলতে হয় তাঁর পিতা বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতি, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কথা। বঙ্গবন্ধুর কথা না বললে প্রধানমন্ত্রী, দেশরত্ন, গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনার ইতিহাসই থেকে যাবে অপূর্ণ।
২৫ সেপ্টেম্বর সকালে এক বার্তায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) এড. মনিরুজ্জামান বুলবুল এ কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু না জন্মালে যেমন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস কতোটা দীর্ঘতর হতো- সেটি যেমন এক ঐতিহাসিক ভাবে গবেষণার বিষয়, একইভাবে জননেত্রী শেখ হাসিনা একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে দলের দায়িত্বভার গ্রহণ না করলে এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীত্বের পদ অলংকৃত না করলে বঙ্গবন্ধু উত্তর বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাস হতো আরও কলুসিত।
যদিও ১৯৭৫ এর ১৫ আগষ্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যদিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরীতে দেশ পরিচালিত হয় দীর্ঘ সময়। এ সময়ে এদের বিরুদ্ধে জীবন বাজি রেখে শেখ হাসিনা রাজপথে আন্দোলন, সংগ্রামে জাতিকে সম্পৃক্ত করে ১৯৯৬ সালে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের পথটি সুগম করেন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে- দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর। এর মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগের নতুন পদযাত্রার অভিষেক ঘটে। তারপর থেকে নানা ঘাত প্রতিঘাত অতিক্রম করে তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে এক রোল মডেল হিসেবে অনুকরণীয় হয়েই তন্তু থেমে থাকেনি। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে তাঁর অবদান আজ এক কথায় কিংবদন্তীতুল্য।
তাঁর নেতৃত্বে আজ সকল ধূলিস্মাৎ করে নিয়ে বিশ্বের বৃহত্তর সেতুর একটি পদ্মা সেতু আজ দৃশ্যমান। যে সেতু দিয়ে যানবাহন এবং রেল দু’টোই চলাচল করবে এবং এই পদ্মা সেতু পুরো বাংলাদেশকে আজ একটি বৃত্তে নিয়ে এসেছে। এ এক অবিস্মরণীয় সাফল্য। এমন সাফল্যের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কতো যে রেখেছেন সে হিসেব করা খুবই দুরূহ।
তাই একজন বাঙালি হিসেবে আজ বলবো যে- বঙ্গ বাংলাদেশে, জননেত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশের একজন গর্বিত নাগরিক হতে পেরে আমি যারপরনাই আনন্দিত। এই গর্ব শুধু আমার একার নয় সমগ্র জাতির। কেননা, একটি জাতিকে ধাপে ধাপে বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করার। বাংলাদেশের সম্মানকে সমুন্নত করার মতো এমন দক্ষতা বঙ্গবন্ধুর পরে একমাত্র জননেত্রী শেখ হাসিনাই দেখাতে পেরেছেন। আর তারই নিমিত্তে বঙ্গবন্ধু’র সুযোগ্য উত্তরাধিকারী, বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু উত্তর সরকার প্রধান হিসেবে একমাত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই বাংলাদেশের মর্যাদাকে বিশ্ব পরিমণ্ডলে তুলে ধরতে সমর্থ হয়েছেন। যার ফলে তিনি বিশ্বের কাছে থেকে নানাভাবে গৌরবময় সম্মানে ভূষিত হয়েছেন
মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে বাঙালির প্রকৃত ইতিহাসের দ্বিতীয় মহানায়কে পরিণত হয়েছেন। তাঁরই উদ্যোগের কারণে নতুন প্রজন বাংলাদেশ জন্মের প্রকৃত ইতিহাস জানতে ও শিখতে পারছে। অর্থনৈতিকভাবেও দেশ আজ সমৃদ্ধ। খাদ্য, বাসস্থান, চিকিৎসা, বিদ্যুৎ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুচিন্তিত, দক্ষ নেতৃত্ব গুণে। উন্নয়নের রূপকার গণতন্ত্রের মানসকন্যা, জননেত্রী শেখ হাসিনার বদৌলতে বাংলাদেশ আজ এক সমৃদ্ধ দেশ এবং বাঙালি জাতি এক গৌরবগাঁথার আলোয় উদ্ভাসিত জাতিতে রূপ লাভ করেছে। এই আনন্দ আজ মহা আনন্দে রূপায়িত হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন (২৮ সেপ্টেম্বর) ঘিরে। তাঁর আসন্ন শুভ জন্মদিনে তাঁর প্রতি রইলো সমগ্র বাঙালি জাতির সম্রদ্ধ অভিনন্দন।