মামুনুল হক রিসোর্টে বিয়ের প্রলোভনে ওই নারীকে ধর্ষণ করেছেন: পিপি রকিব
মামুনুল হকের মামলায় আজকে দুইজনের সাক্ষী গ্রহণ করা হয়েছে। এ দুইজন সাক্ষীসহ মোট ২২ জনের সাক্ষী গ্রহণ করা হলো। সাক্ষীরা বলেছে জান্নাত আরা ঝর্না পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বলেছে মামুনুল হক রয়েল রিসোর্টে নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে।
মঙ্গলবার (৬ জুন) দুপুরে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা জানান নারী ও শিশু আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) অ্যাডভোকেট রকিবউদ্দিন রকিব।
এদিন দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে দশম দফায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
সাক্ষ্য দিয়েছেন- মামলার বাদী কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার ছেলে চার্জশিটে ৩১ নম্বর সাক্ষী আব্দুর রহমান ও চার্জশিটের ৩৩ নম্বর সাক্ষী সাংবাদিক এনামুল হক বিদ্যুৎ।
এর আগে সকালে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মামুনুল হককে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে আনা হয়। সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে পুনরায় মমিনুল হককে কাশিমপুর কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করা অবস্থায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মামুনুল হককে ঘেরাও করেন। পরে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে নিয়ে যান। ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন তার সঙ্গে থাকা ওই নারী।