পুরো পদযাত্রায় বিএনপির দফায় দফায় মারামারি
কেন্দ্র ঘোষিত নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির পদযাত্রায় যুবদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে।নগরীর খানপুর হাসপাতালের সামনে আয়োজিত পদযাত্রায় মঙ্গলবার (২৩ মে) এ ঘটনা ঘটে।
উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অধিনস্থ আদালত এবং সরকারের অবজ্ঞা, গায়েবী মামলায় নির্বিচারে গ্রেপ্তার, মিথ্যা মামলা ও পুলিশি হয়রানী, দ্রব্য মূল্যের উর্দ্ধগতি, বিদ্যুতের লোড শেডিং, আওয়ামী সরকারের সর্বগ্রাসী দূর্নীতির প্রতিবাদে এবং ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবীতে কেন্দ্র ঘোষিত নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি এ পদযাত্রা কর্মসূচির আযোজন করে।
সরেজমিনে দেখা যায়, পদযাত্রায় যোগ দিতে ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিকদল ও মহিলাদলের নেতাকর্মীরা যোগদান করে। পদযাত্রা যাতে বিশৃঙ্খলা না হয় সেদিকে নজরদারিতে ছিলেন মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক শাহেদ আহমেদ। তখন সময় ৪টা। একপর্যায়ে যুবদল নেতা মাজহারুল ইসলাম জোসেফের নেতৃত্বে একটি মিছিল আসে সমাবেশে। ওইসময় জুসেফের নেতৃত্বে থাকা কয়েকজন নেতাকর্মী বক্তব্য স্থানে ডুকে পড়ে। তখন শাহেদ ধাক্কাধাক্কি দিয়ে নেতাদের সড়াতে গেলে হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যায়। ১০-১৫ মিনিট চলে হাতাহাতি। মহানগরের শীর্ষ নেতারা বারবার শান্ত করতে বলার পরও কর্নপাত করেনি তারা। কিছুক্ষন পর জোসেফ শাহেদকে ডেকে নিয়ে ওই নেতার সাথে মিলিয়ে দেয়।
এর কিছুক্ষন পর আসেন বিএনপির সহ-আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ। সমাবেশস্থলে ডুকার সাথে সাথে এর কিছুক্ষন পর আসেন পদযাত্রায় প্রধান অতিথি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। পদযাত্রায় অংশ নিতে আগে থেকেই খানপুর এলাকায় অবস্থান করছিল আজাদের সমর্থক মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম সজলের অনুসারীরা। এসময় সুমনের সমর্থক হিসেবে পরিচিত জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি মিছিল নিয়ে খানপুর এলাকায় উপস্থিত হলে সামনে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে ধ্বস্তাধস্তিতে জড়ায় দুই গ্রুপ।
এসময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী মাইক হাতে নিয়ে নেতাকর্মীদের শান্ত করতে চেষ্টা করেন। তবে এতেও থামেনি বিশৃঙ্খলা।
রিজভী বলেন, আজ সারাদেশে পদযাত্রা হচ্ছে। আপনাদের ভাইয়েরা গুলিবিদ্ধ হচ্ছে। হাত-পা হারাচ্ছে। আর আপনারা নিজেদের মধ্যে মারামারি করছেন। কেন করছেন। আমাদের ওপর দুর্যোগ আসছে৷ আর আপনারা এখানে মারামারি করছেন। প্লিজ লোক হাসাবেন না৷