‘বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে না পেরে বিএনপি আফসোস করে’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার নামে বিএনপি এতদিন দেশে অপরাজনীতি করেছে। তারা এতদিন মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তি তৈরি করে ষড়যন্ত্র করেছে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা এতদিন বলেছে খালেদা জিয়াকে বিদেশ না নিয়ে গেলে তিনি মরে যাবেন। তাকে কোনোভাবেই বাঁচানো যাবে না।
শেষ পর্যন্ত আমরা দেখলাম তিনি সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে গেছেন। বাংলাদেশে তার সুন্দরভাবে চিকিৎসা হয়েছে। খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে বিএনপি কতটা মিথ্যাচার ও অপপ্রচার করেছে তা দেশের মানুষ দেখেছে। তারা মূলত চেয়েছে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার নামে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিএনপি কখনো চায় না বাংলাদেশ উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হোক। তারা চায় দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় গিয়ে সবকিছু লুটপাট করতে। আবারও হাওয়া ভবন তৈরি করে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করতে চায়। তাদের এখন একটাই আফসোস তারা দেশকে পাকিস্তানের আদলে বানাতে পারেনি।
আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি সব সময় বিদেশিদের কাছে গিয়ে ধর্ণা দেয়। তারা পরাশক্তির কাছে নালিশ করে। লবিস্ট নিয়োগ করে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে। বিদেশিদের টাকা দেয় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার জন্য। অর্থনীতিকে বাধাগ্রস্ত করতে তারা মূলত বিদেশে লবিস্ট নিয়োগ করেছে। এর আগে খালেদা জিয়াও নিবন্ধ লিখে জিএসপি সুবিধা নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন, যা আমেরিকার বিভিন্ন পত্রিকায় এসেছে। বিএনপির কাজ হলো অপরাজনীতি করা, তারা কখনো স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেনো। তারা সব সময় চায় বাংলাদেশ ধ্বংস হোক।
শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, জাতীয় শ্রমিক লীগ সবসময় মেহনতী মানুষের জন্য কাজ করে আসছে। আপনাদের সকলকে সেটা মনে রাখতে হবে। সংগঠনের শক্তিকে আরো বাড়াতে হবে। দক্ষ নেতৃত্ব তৈরি করতে হবে। জনপ্রিয়দের খুঁজে বের করতে হবে।
বৈঠকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১ টায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অবস্থিত শ্রমিক লীগ অফিস উদ্বোধন করে কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নূর কুতুব আলম মান্নানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব কে এম আযম খসরুর সঞ্চালনায় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম, জাতীয় শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি তোফায়েল আহমেদ, মো. শাহাবউদ্দিন, মহসিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বি এম জাফর প্রমূখ।