কুতুবপুরে ইফতার পার্টি নিয়ে জসিমের উপর দুই ওয়ার্ড সভাপতি ও এক সাধারণ সম্পাদকের ক্ষোভ
স্টাফ রিপোর্টার (Somoysokal) নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে নম পার্কে অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া ইফতার পার্টি নিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. জসিমউদ্দিনের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দুই ওয়ার্ড সভাপতি ও এক সাধারণ সম্পাদক।
গত শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) নব পার্কে কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের একটি ইফতার পার্টি অনুষ্ঠিত হয়। সেই ইফতার পার্টিতে সাংগঠনিকভাবে দাওয়াত না-পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন, কুতুবপুর ইউনিয়ন ১,২ ও ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. সালাউদ্দিন ভূইয়া, ৪,৫ ও ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. আলউদ্দিন হাওলাদার ও ৭,৮ ও ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম রাহাত।
একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকেও কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ইফতার পার্টিতে কেনো যান’নি এমন প্রশ্ন করলে ১,২ ও ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. সালাউদ্দিন ভূইয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নম পার্কে অনুষ্ঠিত হওয়া ইফতার পার্টিতে সাংগঠনিকভাবে কোনো দাওয়াত পাইনি। ইফতার পার্টি’র একদিন আগে ইউনিয়ন সভাপতি জসিমউদদীনকে আমি অন্য একটা কাজে ফোন দেয় পরে কথা বলার একফাঁকে আমাকে বলে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ইফতার পার্টি আছে যাওয়া জন্য বলে। এটা কোনো সাংগঠনিকভাবে দাওয়াত দেওয়ার নিয়ম হলো? তাই যাইনি। ২০০৩ সাল থেকে জসিম উদ্দিন সভাপতি হওয়ার পর থেকে বিএনপিকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে আওয়ামীলীগকে ধ্বংস করে দিচ্ছে সে। তাছাড়া ইফতার পার্টি করবে আমরা অনেকে জানি না হঠাৎ করে বললেই হবে নাকি। তাদের মনগড়া ইফতার পার্টিতে তৃণমূলের তেমন কোনো নেতা-কর্মী যাইনি। আমি ছাড়া কুতুবপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা থানা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইসহাক মিয়া যাইনি,৪,৫ ও ৬নং আওয়ামীলীগের সভাপতি-সেক্রেটারি যাইনি, ৭,৮ ও ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক যাইনি, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি-সেক্রেটারি যাইনি, ইউনিয়ন যুবলীগের সেক্রেটারি যাইনি, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সেক্রেটারি যাইনি এবং তৃণমূলের আরও অনেক নেতা যাইনি। তাহলে তারা কাদের নিয়ে ইফতার পার্টি করেছে এটা আমার বোধগম্য নয়।
একই বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ৪,৫ ও ৬নং আওয়ামীলীগের সভাপতি মো. আলাউদ্দিন হাওলাদার বলেন, নম পার্কে হয়ে যাওয়া ইফতার পার্টি এটা আওয়ামীলীগের কোনো ইফতার পার্টি নয়। এটা ব্যক্তি ইফতার পার্টি হয়েছে, যদি আওয়ামীলীগের ইফতার পার্টি হতো তাহলে আমরা দাওয়াত পেতাম। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জসিমউদদীন আওয়ামীলীগের রাজনীতি করে না, সে বিএনপির পক্ষে রাজনীতি করে। সে যতদিন দায়িত্বে থাকবে ততদিন কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সুসংগঠিত হবে না কোনো দিন। এখানে আমাদের এমপি শামীম ওসমানের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
ঐ একই বিষয়ে ৭,৮ ও ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম রাহাত ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কে বা কাহারা ইফতার পার্টি করেছে আমি জানি না। আমি পরে পত্র-পত্রিকায় দেখেছি কুতুবপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ইফতার পার্টি হয়েছে। আসলে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জসিমউদদীন আমাদের ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি-সেক্রেটারিকে কোনো মূল্যায়ন করে না। সে তার মনগড়া মতো কাজ করে কাউকে কিছু জানাই না আলাপ আলোচনা করে না। আমরা অনেক অবহেলিতভাবে আছি এর একটি বিহিত হওয়া দরকার।