গ্রুপিং রাজনীতির কারণে ফাটল ধরেছে ফতুল্লা থানা বিএনপিতে
গ্রুপিং রাজনীতির কারণে ফাটল ধরেছে ফতুল্লা থানা বিএনপিতে
স্টাফ রিপোর্টার (Somoysokal) নারায়ণগঞ্জ জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি থানা ফতুল্লা থানা। না’গঞ্জ-৪ আসনের অন্তর্ভুক্ত এই থানাটি জেলা বিএনপির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু সেই গুরুত্বপূর্ণ ফতুল্লা থানা বিএনপিতেই ফাটল ধরেছে গ্রুপিং রাজনীতির জন্য।
ফতুল্লা থানা বিএনপির উদ্যোগে বিগত কয়েকটি কর্মসূচিতে অনুপস্থিত দেখা গেছে থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. আব্দুল বারি ভূইয়া,কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মঈনুল ইসলাম রতন, এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এড. মাহমুদুল হক আলমগীর, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সুমন, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. বিল্লাল হোসেন,ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাসান মাহমুদ পলাশ, সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন, বক্তাবলি ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব হাসান আলী, ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ-সভাপতি আলাউদ্দিন খন্দকার শিপনসহ আরও অনেক নেতাকর্মীকেই অনুপস্থিত দেখা গেছে।
গত রবিবার (২০ আগস্ট) ফতুল্লা থানা বিএনপির উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে সেই কর্মসূচীতে উপরোক্ত কাউকেই উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি। এমনকি কিছুদিন আগে ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটুর বাড়িতে কেন্দ্রীয় নেতারা আসেন সেখানেও তাদেরকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি। এর আগেও শহিদুল ইসলাম টিটুর সুস্থতা কামনায় কয়েকটি দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছিলেন থানা বিএনপি। দুই-একটা প্রোগ্রামে থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত থাকলেও বাকিদের উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি। তাদের এই অনুপস্থিতিই প্রকাশ করে ফতুল্লা থানা বিএনপিতে ফাটল ধরেছে আর শুরু হয়েছে এক প্রকার গ্রুপিং রাজনীতি।
এদিকে ফাতুল্লা থানা বিএনপির বিগত আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক জাহিদ হাসান রোজেল ও যুগ্ম আহবায়ক নজরুল ইসলাম পান্না’র গ্রুপ এক প্রকার ঘরে বসেই রয়েছেন। কেন্দ্রীয় কোনো কর্মসূচী হলে গাঘেঁষা দিয়ে তা পালন করেন। থানা বিএনপির বার্তমান সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটুর গুলিবিদ্ধর বিষয়ে এখন পযন্ত কোনো মন্তব্য করেনি এই গ্রুপটি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফতুল্লা থানা বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা বলেন, রাজ পথ থেকে উঠে এসে ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি হয়েছেন শহিদুল ইসলাম টিটু আজকে তিনি দলের জন্য সংগ্রাম করতে গিয়ে চোখে গুলি খেয়ে অসুস্থ। তার এই অসুস্থতার সুযোগে অনেক ভিন্ন পথের রাজনীতি করার চেষ্টা করছেন, যারা ভিন্ন পথের রাজনীতি করার চেষ্টা করছেন তারা নাকি হাই কমান্ডের নির্দেশেই টিটুর পাশে এসে দাড়ান না। গুলিবিদ্ধ টিটুর জন্য কোনো কর্মসূচি করা হলে অনেকের ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও হাই কমান্ডের নির্দেশে নাকি উপস্থিত থাকতে পারেন না। একসময় যারা পদ-পদবীর জন্য সারাদিন টিটুর পিছনে পিছনে থেকেছেন এখন তারা টিটুর পাশে এসে দাড়াতে নারাজ। তাই তারা ভিন্ন পথের রাজনীতি চর্চা করছেন।
ফতুল্লা থানা বিএনপির যেকোনো কর্মসূচি নিরলসভাবে পালন করে যাচ্ছে, থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সুলতান মাহমুদ মোল্লা, সহ-সভাপতি হাজী শহীদুল্লাহ্, সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মাহমুদ চৌধুরী,থানা শ্রমিক দলের সভাপতি বাবুল আহমেদ, কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আরিফ মন্ডল, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, বক্তাবলি ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আকবর আলী সুমন, বিএনপি নেতা তয়ুব আলী, যুবদল নেতা নজরুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা ঠিকই দলের জন্য কাজ করছে এমনকি থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটুর জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে প্রতিবাদও জানাচ্ছে।