পাঁচ জন নির্বাচন কমিশনারের নাম প্রস্তাব জাফরউল্লাহর
নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের জন্য পছন্দের পাঁচজনের নাম প্রস্তাব করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব নাম প্রস্তাব করেন। ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন দিবস উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করা হয়।
পাঁচজন হলেন- সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, বিচারপতি নাজমুন আরা, সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা ইকবাল করিম ভূঁইয়া।
তাদের মধ্যে সাখাওয়াত হোসেনকে সিইসি করার প্রস্তাব দিয়েছেন জাফরুল্লাহ।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য দেন— জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) সভাপতি ও ৬৯’ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মোস্তফা জামাল হায়দার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য বিনাসাকী জামালী, মুক্তিযোদ্ধা আক্তার হোসেন।
ভাসানী অনুসারী পরিষদের হাবীবুর রহমান রিজুর পরিচালনায় সভায় জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘সার্চ কমিটির পকেটে কী কাগজ আছে, নির্বাচন কমিশনার কারা হবে? আজকে যদি প্রকৃত নির্বাচন করতে হয়, গণতন্ত্র ফেরত দিতে হয়, জনগণকে ভোটের অধিকার ফেরত দিতে হয় তাহলে শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন দরকার।’
তিনি বলেন, বর্তমান আইনে সেই ব্যবস্থা নাই। এমন অবস্থায় অনেক রাজনৈতিক দলই সার্চ কমিটির কাছে কারো নাম প্রস্তাব করেনি। তবে কয়েকটা নাম আপনারা বিবেচনায় আনতে পারেন, সাখাওয়াত হোসেন আগে নির্বাচন কমিশনার ছিলেন। তাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করা হলে তিনি পথ-ঘাট চেনেন, উনি শক্তভাবে কাজগুলো করতে পারবেন। তার সঙ্গে সাবেক সেনা কর্মকর্তা ইকবাল করিম ভূঁইয়া, তিনি আজিজ নয়, সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে তার সুনাম আছে। বদিউল আলম মজুমদার ও বিচারপতি নাজমুন আরা, সুলতানা কামালের মতো সত্যিকারে সজ্জন ও সাহসী লোকজনদের কমিশনে আনলে কমিশন কিছুটা বিতর্ক মুক্ত থাকবে।
জাফরুল্লাহ বলেন, সার্চ কমিটিতে যাদের নাম এসেছে তারা তাদের সম্পদের হিসাব দেয়নি। তাদের ওপরে মানুষের আস্থা থাকবে কী করে? তাদের পকেটে কী কাগজ আছে?-এমন প্রশ্ন তোলেন তিনি।