গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মাসুম
গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মাসুম
স্টাফ রিপোর্টার(Somoysokal) এক সময়ের তুখোড় ছাত্রনেতা ও বর্তমান সোনারগাঁ আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পিরোজপুর ইউনয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুমের রাজনৈতিক চরিত্র হননে উঠে পড়ে লেগেছে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী কতিপয় হাইব্রিড নেতা। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগে লেবাসধারী পিরোজপুর ইউনিয়নের কান্দারগাঁও গ্রামের বীর মুক্তিযুদ্ধা মোজাফ্ফর আলীর বড় ছেলে রিপন হত্যার প্রধান আসামী কান্দারগাঁও গ্রামের মৃত মমতাজ উদ্দিনের ছেলে চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী পলিথিন জাকির ঈর্ষান্বিত হয়ে ইঞ্জিনিয়ার মাসুমের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও সামাজিক ভাবে ক্ষতি করার চেষ্টা ও গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে মিথ্যা, বানোয়াট, কাল্পনিক ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে।
পলিথিন জাকির পিরোজপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি। তার বিরুদ্ধে মেঘনা নদীতে চাঁদাবাজী, হত্যা, ভূমিদস্যুতাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। গত বুধবার পলিথিন জাকিরের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে এলাকাবাসী। এতে পিরোজপুর, জৈনপুর, কান্দারগাঁও, নাগেরগাঁও, ভবনাথপুর ও ছয়হিস্যা গ্রামের কয়েক হাজার নারী-পুরুষ অংশ নেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, শেখ রাসেল কিশোর পরিষদ থেকেই ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তিনি বরাবরই ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তার দীর্ঘ রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে বয়ে এসেছে অনেক সফলতা। বর্তমানে সোনারগাঁয়ের রাজনীতি অঙ্গনে তার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে।
বিএনপি সরকারের আমলে জুলুম-নির্যাতনের শিকার হন ত্যাগী রাজনৈতিক ব্যক্তিত ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম। তবুও বঙ্গবন্ধুর আর্দশ অনুসরন করে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন। পাশাপাশি নিজ কর্ম, গুণ আর বৈশিষ্টের মাধ্যমে জনমানুষের বন্ধুতে পরিনত হন ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম। কেননা যে কোন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, স্বেচ্ছাসেবামুলক কার্যক্রমে নিজেকে শামিল করে চলেছেন বিনা স্বার্থে। নিজ এলাকায় আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করতে বিসর্জন দিচ্ছেন নিজের ইচ্ছা-অনিচ্ছাকে। আর তাই ত্যাগ আর দক্ষতার উপহার স্বরুপ ২০২২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা তাকে সোনারগাঁ আওয়ামী লীগে সহ-সভাপতি নির্বাচিত করেছেন।
এটাই যেন তার বড় অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয় পিরোজপুর ইউনিয়নের কিছু অংশের কাছে। তাই ইঞ্জিনিয়ার মাসুমের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবীমুলক কার্যক্রমকেও নানান কৌশলে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলার চেষ্টা করছে পলিথিন জাকির।
ইঞ্জিনিয়ার মাসুম জানিয়েছে, কিছু বিএনপি জামাতের এজেন্ট পয়সার বিনিময়ে আওয়ামী যুবলীগের পদ কিনেছে। পদ কিনে পিরোজপুর ইউনিয়নে খুন খারাপি, চাঁদাবাজি ও ভূমিদস্যু এই একটা লোকেই করে। কোনো নির্বাচনে সে অংশ নেয় নাই। আন্দোলন মিছিল মিটিং এমনকি ইউনিয়নের সম্মেলনেও যুবলীগের সভাপতি হয়েও তাকে দেখা যায়নি। সে আওয়ামী যুবলীগের নামধারী লোক। এই লোককে বহিষ্কারের জন্য তৃনমূল থেকে দুই বছর আগে আমাদের কাছে অভিযোগ আসছে। দলকে আমি জানিয়েছি। কিছু এ ধরণের হাইব্রিড যারা দলের কিছুতে অংশ নেয় না দলের নাম বেচে শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছে এদের বিরুদ্ধে দলীয় অবস্থানে আমরা আছি। তাকে দল থেকে বহিষ্কার করবো আমরা কিছুদিনের মধ্যে।
তিনি আরও জানান, ব্যাংকের জায়গা কোম্পানির কাছে বিক্রি করে জালিয়াতি মামলা খেয়ে তার নামে ওয়ারেন্ট বের হয়েছিলো। অন্যের জমি নিজের নামে বলে প্রতারণা করে খারিজ করে সে। সকল ধরণের অভিযোগ আমাদের কাছে প্রমাণ সহ রয়েছে। এ ধরণের খুনি দাগি আসামীর পক্ষে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছে। আমি এলাকাবাসীর পক্ষে এ ধরণের লোকদের আটক ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।