এক স্ত্রী, দুই স্বামী! ঘটনা গড়াল থানায়
ধামরাইয়ে একটি ঘরের মধ্যে দুই তরুণসহ এক তরুণীকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। তাঁরা দুজনই ওই তরুণীর স্বামী বলে জানা গেছে। প্রকৃতির ডাকের কথা বলে দ্বিতীয় স্বামী জনতার হাত থেকে পালিয়ে যান।
স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ প্রথম স্বামী দাবিকারী এবং ওই তরুণীকে স্থানীয়দের সহায়তায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের বারবাড়িয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের বারবাড়িয়া এলাকার ওই তরুণী (২৩) দুই ব্যক্তিকে বিয়ে করেন। দুই স্বামীকে নিয়ে একই ঘরে বসবাস করতেন তিনি। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা দুই স্বামীসহ ওই তরুণীকে ঘরে আটকে রাখে।
স্থানীয়রা জানায়, টাঙ্গাইল জেলার এক তরুণের সঙ্গে প্রায় তিন বছর আগে ওই তরুণীর বিয়ে হয়। এই বিয়ের খবর এলাকার সবাই জানে। তবে দেড় মাস আগে ধামরাই এলাকার এক তরুণকে বিয়ে করেন তরুণী। এটি তাঁর গোপন বিয়ে।
স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ওই তরুণী এবং তাঁর প্রথম স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়। তাঁদের দাম্পত্য সম্পর্কের সত্যতা মেলায় পরে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
পুলিশ জানায়, স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে ওই দম্পতিকে থানায় নিয়ে আসা হয়। প্রাথমিভাবে জানতে পেরেছি, প্রথম স্বামী স্ত্রীর দ্বিতীয় বিয়ের খবর পেয়ে শ্বশুরবাড়িতে আসেন। এ সময় ওই তরুণীর দ্বিতীয় স্বামীও সেই বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন। তবে এক ঘরে দুই ‘স্বামী’ আছে জানতে পেরে এলাকাবাসী তাঁদের আটক করে। এর মধ্যে রাজা কৌশলে পালিয়ে যান।
ধামরাই থানার এসআই মো. মফিজুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, এলাকাবাসী আটকের পর এক তরুণ ও এক তরুণীকে পুলিশের কাছ সোপর্দ করে। তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়। পরে বিয়ের বিষয়টির সত্যতা পাওয়ার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি সমাধানের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।