ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ছেন মাসুম আজিজ
![](https://somoysokal.com/wp-content/uploads/2022/02/ক্যান্সারের-সঙ্গে-লড়ছেন-মাসুম-আজিজ-780x470.jpg)
এবারের সদ্য ঘোষিত একুশে পদক পাওয়া গুণীজনদের তালিকায় রয়েছেন অভিনেতা মাসুম আজিজ ৷ এ বিষয়ে কথা বলতে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করলে জানা যায় একটি বেদনাদায়ক খবর ৷ ফুসফুস ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছেন বরেণ্য এই অভিনেতা। গত মাসেই তাঁর শরীরে ক্যান্সার ধরা পড়ে। দ্রুতই চিকিৎসা শুরু করেন। এ পর্যন্ত কেমোথেরাপি দিয়েছেন ৩ বার ও রেডিও থেরাপি দেওয়া দেওয়া হয়েছে ১৩ বার ।
এই দুঃসময়ে পেলেন রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি একুশে পদক পাওয়ার সংবাদ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কালের কণ্ঠের সঙ্গে আলাপ কালে মাসুম আজিজ বলেন, ‘আমার লড়াইটা এখন ক্যান্সারের সঙ্গে। আমি জানি না জিতব কি-না। তবে মৃত্যুর আগে জেনে যাচ্ছি, অভিনয় করতাম, আমার অভিনয়ের একটি রাষ্ট্রীয় সনদ রয়েছে। ’
জানুয়ারির দু তারিখে ক্যান্সার ধরা পড়েছে জানিয়ে এই গুণী অভিনেতা বলেন, বুকে খুব সমস্যা হচ্ছিল। ল্যাব এইডে যাই। এক্সরে কারনোর পর সেটা দেখেই সন্দেহ হয়। পরের সিটি গাইড স্ক্যান করে ক্যান্সারের বিষয়টি নিশ্চিত হই। এখন টানা চিকিৎসা চলছে। ’
রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন জানিয়ে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেতা ৷ তিনি আরো বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ৯ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। চিকিৎসকেরা বলেছেন আনুমানিক ১৬ লাখ টাকা খরচ হবে। ছেলে মেয়েরা কন্ট্রিবিউশন করছে। বোল্ডলি বলব না কোনো সমস্যাই হচ্ছে না, তবে চলছে। মোট ৮ টি কেমোথেরাপি ও ৩০ টি রেডিও থেরাপি দিতে হবে। ’
কী বলছেন চিকিৎসকেরা? মাসুম আজিজ বলেন, ‘চিকিৎসকেরা আমাকে অভয় দিয়েছেন। কিন্তু লড়াইটা কঠিন। লড়াইটা চালিয়ে যাচ্ছি। ইনিশিয়াল স্টেজে রয়েছে জার্ম। এখন দেখা যাক, কী হয়। ’
একুশে পদক পাওয়ার খবরে আনন্দিত এই অভিনেতা বলেন, ‘আমার অভিনয় জীবনের এটা বড় একটি স্বীকৃতি। আমিও অভিনয় করেছি আমারও একটি সনদ রয়েছে। হয়তো আমি থাকব না, এই সনদ আমাকে পরিচয় করিয়ে দেবে। এই খবর আমাকে আনন্দিত করেছে। ’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি থিয়েটারে কাজের মাধ্যমে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর ১৯৮৫ সালে তিনি প্রথম টিভি নাটকে অভিনয় করেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি চারশতাধিক নাটকে অভিনয় করেন।
বুধবার সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এবার একুশে পদক প্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এবার ২৪ জন বিশিষ্ট নাগরিক এই পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন। এরমধ্যে সংস্কৃতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য আছেন ৭ জন ব্যক্তিত্ব। এঁরা হলেন জিনাত বরকতউল্লাহ (নৃত্য), নজরুল ইসলাম বাবু (মরণোত্তর, সংগীত), ইকবাল আহমেদ (সংগীত), মাহমুদুর রহমান বেণু (সংগীত), খালেদ খান (মরণোত্তর, অভিনয়), আফজাল হোসেন (অভিনয়) ও মাসুম আজিজ (অভিনয়)।