ইন্টারনেট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পিতা-পুত্র সহ কর্মচারীকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। এতে পিতার মাথায় ও কানে এবং পুত্রের কানে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। পিতার ৭টি এবং পুত্রের ২টি শেলাই লেগেছে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা। আহতরা হলো- মো. আলী আকবর (৬০), মো. মামুন আল রুবায়েত (৩২) এবং আরজু (৩৩)।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৫ টায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন সানাড়পাড় লন্ডন মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলো- নিমাই কাশারী এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে রিন্টু (৩২), মৃত আনসু ভূইয়ার ছেলে সবুজ (৩৫) এবং জাবেদ (১৬) ও জুবায়ের (১৫) সহ অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জন।
অভিযোগে বাদি মো. মামুন আল রুবায়েত উল্লেখ করেন, বিবাদীরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ভুক্তভোগীদের উপর হামলা চালায়। ঘটনার দিন ঐ এলাকার ইন্টারনেট ব্যবসায়ী মো. মামুন আল রুবায়েতের কর্মচারী আরজু লন্ডন মার্কেট এলাকায় এক গ্রাহকের বাসায় ইন্টারনেট সংযোগ দিতে গেলে অভিযুক্তরা তাদের লাইনের কেবল কাটার অভিযোগ তুলে তাকে মারধর করতে থাকে। খবর পেয়ে রুবায়েতের বাবা ৬০ বছরের বৃদ্ধ আলী আকবর জিজ্ঞেস করতে গেলে তার উপর হামলা করে রক্তাক্ত জখম করে। পরে তার ছেলে রুবায়েত ঘটনাস্থলে গেলে তাকে একই কায়দায় মারধর করে। এতে পিতা-পুত্র দু’জনই গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়।
আহত মো. মামুন আল রুবায়েত বলেন, বিবাদীরা লোহার রড ও প্লায়ারস দিয়ে আমাদের উপর হামলা করে। এতে আমার বাবার মাথায় ও কানে ৭টি এবং আমার ২টি শেলাই করতে হয়েছে। তাদের ব্যবসায় আমরা কোন ধরনের বাধা সৃষ্টি করিনি। তারা জোর করে তাদের ব্যবসায়ের পরিধি বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যেই পূর্ব-পরিকল্পিত ভাবে আমাদের উপর হামলা করে। আমার বৃদ্ধ বাবাকেও তারা রেহাই দেয়নি। আমি প্রশাসনের কাছে এমন নিন্দনীয় ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল রেজা জানান, ভুক্তভোগীরা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে তারা এলাকার নিজেরা নিজেরাই মারামারি করেছে। এতে বাবা-ছেলে আহত হয়েছে। আমরা আরো তদন্ত করে দেখছি।