অপরাধ

স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ, প্রতিবাদ করায় বাবাকে মারধর!

রাজবাড়ীতে দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের পর আটকে রেখে মারপিট এবং একাধিকবার ধর্ষণ করে বাড়ির সামনে ফেলে রেখে যাওয়ার প্রতিবাদ করায় তার বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর করার পাশাপাশি ওই ছাত্রীর বাবাকে মারপিট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই অভিযোগে ওই ছাত্রী বাদী হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাজবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।

মামলায় রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুরের মোঃ আইয়ুব খানের ছেলে মোঃ মানিক খান (২০) এবং রাজবাড়ী সদর উপজেলার চরলক্ষিপুর গ্রামের আহম্মদ আলীর ছেলে বিল্লাল শেখ (৪০) ও সেকেনের ছেলে মোঃ ফরিদকে (৩৫) আসামি করা হয়েছে।

ওই ছাত্রী জানায়, স্কুলে যাওয়া আসার পথে প্রধান আসামি মানিক খান তাকে কু-প্রস্তাব দিতো।

সে বিষয়টি তার বাবাকে জানায়। তার বাবা তা মানিকের পরিবারের সদস্যদের অবহিত করে। এতে মানিক ক্ষিপ্ত হয় এবং তার ক্ষতি করতে সুযোগ খুজতে থাকে। গত ৩১ জানুয়ারী বিকাল ৫টার দিকে প্রাইভেট পড়ে সে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথে মানিক তার সহযোগিদের নিয়ে ওৎ পেতে থাকে। ওই সময় একটি মাইক্রোবসে তাকে জোরপূর্বক তুলে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় এবং তাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। সে তাতে বাঁধা দিলে মানিক তাকে বেধরক মারপিট করে। মারপিটের এক পর্যায়ে সে দুর্বল হয়ে পড়লে মানিক তাকে জোরপূর্বক একাধিক বার ধর্ষণ করে।
এরপর দিন বিকালে তারা পুনরায় তাকে ওই মাইক্রোবাসে তুলে এনে বাড়ি পাশের রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে অসুস্থ অবস্থায় রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ওই দিন রাতে ৮ টার দিকে তার বাবা ঘটনাটি গ্রামের আহম্মদ আলীর ছেলে বিল্লাল শেখকে অবহিত করে। এতে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয় এবং ওই ঘটনার আধা ঘন্টা পর ধারালো অস্ত্র ও লাঠিশোঠা নিয়ে তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে। একই সঙ্গে তারা তার বাবাকে বেধরক মারপিট করে এবং বসত ঘরের জানালা ও টিনের বেড়া কুপিয়ে ক্ষতি সাধন করে।

 

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রাজবাড়ী থানার এসআই সোহেল রানা জানান, আসামিদের মধ্যে ফরিদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Back to top button
%d bloggers like this: