স্টাফ রিপোর্টার (Somoysokal) নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নে আল হাসান নামক এক গহনা ব্যবসায়ীর অপকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে পরেছে এলাকাবাসী। আল হাসান গহনা ব্যবসার আড়ালে মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইল করে হাতিয়ে নেয় মোটা অঙ্কের টাকা।
আল হাসানের প্রতারণার স্বীকার হয়ে কুতুবপুর ইউনিয়ন ৪নং ওয়ার্ডস্থ ব্যাংক কোলনী এলাকার এক স্থানীয় তরুণী ফতুল্লা মডেল থানায় তার নামে অভিযোগ দায়ের করেছে।
ফতুল্লা থানায় দায়েরকৃত অভিযোগের ভিত্তিতে জানায়, দেলপাড়া, ব্যাংক কলােনী সাহাব উদ্দিন সাহেবের বাড়ির ভাড়াটিয়া মাে. জায়েদ মিয়া’র ছেলে মাে. আল হাসান (২৬) এলাকায় নিউ আলিফ জুয়েলার্স নামক দোকান দিয়া স্বর্ন ও রূপার গহনা তৈরির ব্যবসা করার আড়ালে মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইল করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। এই কারণে এলাকার স্থানীয় মাতবররা একাধিকবার আল হাসানের অপকর্মে বিষয়ে বিচার সালিস করে দেয় এবং এমন অপকর্ম না করার নির্দেশ দেন। কিন্তু তাতে কোনো তোয়াক্কা না করে অপকর্ম চালিয়েই যাচ্ছে আল হাসান। যার কারণে এখন ব্যাংক কলোনীর এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পরেছে।
আল হাসানের বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানায় অভিযোগ দায়েরকৃত ভুক্তভোগী সেই তরুণী (ছদ্মনাম) ফারিয়া (১৯) এর বড় ভাই (ছদ্মনাম) নাদিম(২৯) জানান,
আল হাসানের অপকর্মে বিষয়ে এলাকার স্থানীয় বিচারকরা জানান, আল হাসান গহনা ব্যবসার আড়ালে মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেই করে নানাভাবে হয়রানি করে এবং মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। সে অল্প বয়সের মেয়েদের এমনকি বয়স্ক মহিলাদের সাথেও অবৈধ সম্পর্ক তৈরি করে পরিশেষে তাদেরকে ব্ল্যাকমেই করে। তার এমন অপকর্মের বিষয়ে বিভিন্ন সময় বিচার সালিস করে দিলেও এর কোনো প্রতিকার হয়নি। শুনে স্থানীয় এক তরুণী আল হাসানের প্রতারণার স্বীকার হয়ে ফতুল্লা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
দক্ষিণ পূর্ব দেলপাড়া ব্যাংক কলােনী এলাকায়
নিউ আলিফ জুয়েলার্স নামক দোকান দিয়া স্বর্ন ও রূপার গহনা তৈরির ব্যবসা করিয়া আসিতেছিলো আল হাসান। সেই সুবাদে তার দোকানে আমার বোন গহনা বানানোর জন্য গেলে আল হাসানের সঙ্গে সু-সম্পর্ক গড়িয়া উঠে। এক পর্যায়ে আল হাসান তার স্ত্রী ও সস্তান থাকার বিষয়টি গোপন রেখে আমার বােনকে প্রমের ফাঁদে ফেলে তাকে বিবাহ করার জন্য বিভিন্ন উপায়ে ব্ল্যাকমেইল করতে থাকে। উপায়ান্তর না পেয়ে আমার বোন প্রতারক আল হাসানকে গত ইং ০৭/০৫/২০২২ তারিখে বিবাহ করিতে বাধ্য হয়। বিবাহের কয়েকদিন পর আমার বােন আল হাসানের পূর্বের বিবাহ সম্পর্কে জানতে পারে। পূর্বে বিয়ের কথা গোপন রাখার বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসা করলে আল হাসান আমার বােনকে অকথ্য ভাষায় গালি
গালাজ সহ বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন শুরু করে এবং প্রয়ােজন হইলে আরো ডজন খানেক বিবাহ করিবে বলে হমকি প্রদান করে। বিষয়টি আমার বোন আমাদেরকে জানালে উভয় পরিবারের সদস্যদের নিয়া স্থানীয় ভাবে বিচার সালিস করা হয়। এর পর আল হাসান তার কৃতকর্ম সম্পর্কে অনুকম্পা করে পুনরায় সংসার করিতে ইচ্ছা পোষন করে তখন আমি সরল বিশ্বাসে আমার বােনকে আল হাসানের সংসারে পাঠাই। কিন্তু সে অত্যন্ত লােভী প্রকৃতির হওয়ায় আমার বোনের কাছে থাকা ১ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন, এবং ২ ভরি ওজনের স্বর্ণের এক জোড়া বালা মােট ৩ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার হাতাইয়া নেয়। যার বর্তমান বাজার মূল্য-২,৪৭,০০০/- (দুই লক্ষ সাত চল্লিশিশ
হাজার) টাকা তাতেও আমাযর বোন প্রতিবা না করায় আল হাসান সাহস পাইয়া তাহার ব্যবস্য প্রতিষ্ঠানে বসে আবরো নতুন নতুন মেয়েদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করতে থাকে।
আল হাসানের অপকর্মের বিষয়টি আমার বানের নজরে পরিলে গত ইং ২১/০৭/২০২২ তারিখে আমার বােন স্বেচ্ছায় বিবাদীকে তালাক প্রদান করে। তারপর থেকে প্রতারক আল হাসান ক্রমাস্বয়ে আমি সহ পরিবারের সকলের মােবাইলে ফোন দিয়ে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন সহ প্রান নাশের হুমকি দিচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ইং ২৩/০৭/২০২২ তারিখ দুপুর অনুমান ১.৩০ ঘটিকার সময় প্রতারক আল হাসান আমার বোনের নাম্বারে ফোন দিয়ে আমার বােনকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখাচ্ছে এবং পুনরায় তাহার সংসারে ফিরিয়া যাইতে হুমকি দিচ্ছে, এসময় আমার বােন আল হাসানের সংসারে আর ফিরিয়া যাবেনা বললে আমার বােনকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে এক এবং তার নিকট থাকা আমার বােনের কিছু ব্যক্তিগত ছবি সামাজিক যোগাযােগ মাধ্যমে ছড়াইয়া দিবে বলে হুমকি প্রদান করে। তাই আমি এই ধরনের হুমকি ধামকি সম্পর্কে স্থানীয় গন্য মান্য ব্যক্তি বর্গের সাথে আলাপ আলোচনা করে ফতুল্লা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।