শুক্রবার কাঁচপুরে আওয়ামী লীগের সমাবেশ, প্রস্তুত হচ্ছে মঞ্চ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরে ‘স্মরণকালের সবচেয়ে বড়’ সমাবেশ করতে প্রস্তুতি শেষ করে এনেছে আওয়ামী লীগ।সমাবেশের প্রস্তুতি পুরোদমে চলতে থাকায় কাঁচপুর নগরী উৎসবমুখমুর হয়ে উঠেছে। সমাবেশটি নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে হবে এবং আয়োজনে সোনারগাঁ আওয়ামী লীগ।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে সমাবেশস্থল ঘুরে দেখা যায়, কাঁচপুর ব্রিজের পাশে তৈরি করা হচ্ছে মঞ্চ। ব্যানার ফেস্টুন ছেয়ে গেছে কাঁচপুরের আশেপাশের এলাকা। সোনারগাঁ আওয়ামী লীগের থেকে বিকেলে সমাবেশস্থল পরিদর্শনেে এসেছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য কায়সার হাসনাত। আগামীকাল দুপুর আড়াইটায় সমাবেশ শুরু হবে।
বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে আগামীকাল ১৩ অক্টোবর কাঁচপুরে শান্তির বার্তা দিতে নারায়ণগঞ্জবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দেবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এছাড়াও কেন্দ্রীয় নেতারা ও নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের এমপি মন্ত্রীরা উপস্থিত থাকবেন।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, ওবায়দুল কাদেরের আগমনে শুধু কাঁচপুর নয়, গোটা নারায়ণগঞ্জের নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ সৃষ্টি হয়েছে । আগামীকাল কাঁচপুরের সমাবেশে ব্যাপক জনসমাগম হবে। তাদের দাবি, শুক্রবার কাঁচপুর হবে জনতার শহর।
সমাবেশের ব্যাপারে কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আগামীকালের সমাবেশে লক্ষাধিক লোকের সমাগম হবে। আমরা সোনারগাঁ আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ হয়ে দিনরাত কাজ করছি। সাজসজ্জা থেকে শুরু করে মাইকের কাজ প্রায় শেষ। পাশাপাশি বৃষ্টি হলে সমাবেশস্থলে যেনো পানি না জমে সকল ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সমাবেশে আমরা প্রমাণ করতে চাই, যে উন্নয়ন হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেটা যেনো অব্যাহত থাকে। জনগন বিএনপিকে আর চাই না। বিদেশীদের মাধ্যমে যারা সরকারকে হটাতে চাচ্ছে বাংলাদেশের জনগন সেটা আর হতে দিবে না।
সোনারগাঁ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য কায়সার হাসনাত বলেন, আমরা আশা করছি ৪০-৫০ হাজার লোক হবে। লোকে লোকারণ্য হয়ে যাবে সমাবেশের স্থান। যদি কেউ সমাবেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করে সেদিন আমরা তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিবো। সেদিনের সমাবেশ আমাদের অস্তিত্বের সমাবেশ। ওদিন যদি কেউ সমাবেশকে প্রশ্নবিদ্ধ ও অস্তিত্ব নষ্ট করা চেষ্টা করে আমরা ছাড় দিবো না। আমরা সেদিন গাডলাইনে থাকবো। যে বিশৃঙ্খলা করা চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা সেদিন আমাদের সাংগঠনিক দক্ষতা প্রমাণ করবো ঐক্যর মাধ্যমে।