বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর পুলিশের মামলায় জেলা যুবদলের নিন্দা
সোনারগাঁ থানায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান, নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দীপু, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকনসহ ১১৩জন নেতাকর্মীর নামে মামলা দায়ের করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদল।
মঙ্গলবার (২২ আগষ্ট) জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি এক বিবৃতিতে এ নিন্দা ও ক্ষোভ জানান।
বিবৃতিতে রনি বলেন, দেশমাতার উন্নত চিকিৎসা ও মুক্তির দাবীতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচিতে গ৩ ১৯ আগষ্ট নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে আওয়ামী লীগ-যুবলীগ-ছাত্রলীগ ও পুলিশের যৌথ হামলার পরে গতকাল নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন, নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান, নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দীপু, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন, আড়াইহাজারের সাবেক সাংসদ আতাউর রহমান খাঁন আঙ্গুর, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম সজীব, জেলা সেচ্ছাসেবকদল সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম, সাধারণ সম্পাদক মাহবুব রহমান, সাবেক জেলা সহ- সভাপতি হারুনুর রশিদ মিঠু, সোনারগাঁও উপজেলা যুবদল আহবায়ক শহিদুর রহমান স্বপন, সাবেক জেলা যুবদল যুগ্ম সম্পাদক মশিউর রহমান শান্ত, তারাবো পৌর যুবদল আহবায়ক আফজাল কবির, সোনারগাঁও উপজেলা যুবদল যুগ্ম আহবায়ক আশরাফ প্রধান, সোনারগাঁও উপজেলা যুবদল সাবেক সহ-সভাপতি এনামুল হক রবিন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি শাহাদাত হোসেন, পিরোজপুর ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি শহীদ সরকার, সোনারগাঁও পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক জাহের আলী, বন্দর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক সম্রাট সুজন, মোগড়াপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি চপল চৌধুরি, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি সোহেল রানা, মোগড়াপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, পিরোজপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন, ভুলতা ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আরিফ মিয়া, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন নয়ন, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক নাজমুল ফকির, সোনারগাঁও পৌর যুবদল নেতা আলামিন, আহমেদ আলী, মোঃ হেলাল সহ মোট ১১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও ৫০০-৬০০ জনকে অজ্ঞাত রেখে সোনারগাঁও থানার পরিদর্শক মোঃ ফিরোজ আহমেদ একটি মিথ্যা ও প্রহসনমূলক বিস্ফোরক মামলা দায়ের করেন। যার মধ্যে একজন আসামী রূপগঞ্জের সাবেক ছাত্রনেতা কাইয়ূম প্রধান শারিরীক অসুস্থতার কারনে বেশ কিছুদিন আগে থেকেই লন্ডনে অবস্থান করে সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
রনি বলেন, সরকারের অতি উৎসাহী পুলিশের কিছু কর্মকর্তা সরকারের তাঁবেদারি করতে এমন কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। তবে জনগণের সাথে কোন কূট কৌশলই টিকবেনা। সরকারীদল সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশকে অসুস্থ করার জন্য তারা দায়ী, জনগণের কাছে এর জবাব দিতে হবে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে তারা তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে, যা কখনোই কাম্য নয়। তারা শুধু রাষ্ট্রযন্ত্র কলুষিত করেই ক্ষান্ত নয়, লুটপাটের মহোৎসবের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির চাকাকে পঙ্গু করে দিয়েছে। বিলিয়ন ডলার পাচারের মাধ্যমে রাত্রকে চরম ক্ষতিগ্রস্থ করেছে। আর এসকল অপকর্ম-কুকর্মের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতেই তারা আবারো বিগত নির্বাচনগুলোর মতো রাতের অন্ধকারে সরকারগঠনে মরিয়া। আর তাই জনগণকে ব্যস্ত রাখতেই এমন মামলা-হামলা, গুম-খুনের ঘটনাগুলো ঘটিয়ে যাচ্ছে রাষ্ট্রীয় মদদে তাদের আশির্বাদপুষ্ট তাদেরই নিয়োগপ্রাপ্ত গুন্ডাদের মাধ্যমে। তবে জনগণের সামনে কোন অপশক্তিই টিকতে পারবেনা।
অনতিবিলম্বে আমাদের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে সাজানো প্রহসনমূলক মামলা প্রত্যাহার করে আটককৃতদের মুক্তির দাবী করছি।