সারাদেশ

বিএনপির মিছিলে পদবঞ্চিতদের হামলা, সংবাদকর্মীসহ আহত ১৫

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির কালো পতাকা মিছিলে লাঠি শোঠা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে যুবদলের পদপ্রত্যাশী মাজহারুল ইসলাম জোসেফের অনুসারীরা৷ এতে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে এবং আহবায়ক সাখাওয়াতকে লাঞ্চনা করা হয়েছে।

এছাড়াও সংবাদকর্মীসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন৷হামলাকারীরা নগরীর প্রধান সড়কে কয়েকটি যানবাহন ভাংচুর করেন।এসময় ঘটনাস্থলের চারপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ টিয়ারসেল নিক্ষেপ করলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

বুধবার (৩০ আগস্ট) বিকেল চারটার দিকে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটে৷

বিএনপির নেতাকর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল মঙ্গলবার যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের জেলা ও মহানগরের পৃথক চারটি কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি৷ মহানগর যুবদলে প্রধান পদপ্রত্যাশী ছিলেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাজহারুল ইসলাম জোসেফ৷ তিনি পদ না পাওয়ায় তার অনুসারীরা মহানগর বিএনপির কর্মসূচিতে লাঠি-সোটা হাতে হামলা করেন৷ ভাঙচুর করেন সড়কে থাকা কয়েকটি যানবাহন৷ এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে৷ পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়৷

মহানগর বিএনপির আহবায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, যারা হামলা চালিয়েছে তারা সরকারী দলের এজেন্ট। সরকারী দলের নির্দেশে তারা আমাদের কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে। কিন্তু হামলা চালিয়ে তারা আমাদের কর্মসূচি ব্যর্থ করতে পারেনি।

এ বিষয়ে যুবদল নেতা মাজহারুল ইসলাম জোসেফ বলেন, আমি সভাপতি বা আহ্বায়ক পদ প্রত্যাশা করেছিলাম৷ আমি পদ পাইনি বলে আমার অনুসারী কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে হামলা করেছেন৷

সদর মডেল থানার ওসি আনিচুর রহমান মোল্লা বলেন, বিএনপির কর্মসূচিতে বিএনপির দুই গ্রæপের মধ্যে মারামারি হয়েছে। পরে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার সেল ছুড়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

 

 

 

Back to top button