সারাদেশ

নৌকা প্রত্যাহার হলে আ’লীগ করে কি লাভ হতো, প্রশ্ন ইঞ্জিনিয়ার মাসুমের

নির্বাচনের সময় অনেককে রাজপথে দেখেন নাই সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম।

তিনি তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমরা অনেকে আওয়ামী লীগ করি, কিন্তু ১৭ তারিখের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। কেনো, মনোনয়নটা পরিবর্তন হয় কিনা। এদেরকে আওয়ামী লীগ বলা যায় না, এদেরকে আওয়ামী স্বীকৃতি দেওয়া যায় না। আজকে যদি নৌকার মনোনয়ন না থাকতো তাহলে আমরা আওয়ামী লীগ কি করতাম? যদি সেদিন নৌকা প্রত্যাহার করা হতো আওয়ামী লীগ করে আমাদের কি লাভ হতো? যারা ১৭ তারিখের অপেক্ষায় ছিলেন, ১৪-১৬ জন প্রার্থী ছিলেন কাদের কি ভূমিকা ছিলো আমরা জানতে চাই?’

আজ সোমবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে উপজেলা হলরুমে জাতীয় শ্রমিকলীগ সোনারগাঁ শাখার পক্ষ থেকে গনসংবধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেছেন। নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে কায়সার হাসনাত এমপি হওয়ায় সোনারগাঁ শ্রমিকলীগ এ সংবধর্ণা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। 

এই সময় তিনি বলেন, অনেক প্রার্থীই বলতেন যাকেই দেন নৌকার পক্ষে আমরা কাজ করবো। কি হলো নৌকা দেওয়ার পরে নৌকাকে ডুবানোর চক্রান্ত হলো। কারা চক্রান্ত করেছে আমাদের প্রার্থী ও শামসু ভাই সকলেই জানে। অনেকে আমাদের নির্বাচন করে নাই। দিনের বেলায় ভোট চেয়েছে রাতের বেলায় আরেকটা করেছে। তারা কারা আমরা জানি, নাম নাই বললাম। 

‘এ কথাগুলো এ কারণে বললাম; সংগঠন করতে হলে সাংগঠনিক নিয়ম মানতে হবে। আপনি যতো বড় নেতা হন আর প্রস্তাবিত কমিটির যতো বড় পদে থাকেন না কেনো এখানে থাকার অধিকার হারিয়ে ফেলেছেন। স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, রাজনীতি করতে হবে সাংগঠনিক নিয়মে। রাজনীতি ব্যক্তিকেন্দ্রীক হলে আপনি আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিতে পারবেন না।’

মাসুম বলেন, আজকে এরকম সিচুয়েশন না হতে পারতো। নেত্রীর দূরদর্শিতার কারণে সোনারগাঁয়ের পরিবেশ ঠান্ডা রয়েছে। এ পরিস্থিতি না হতেও পারতো, এ নির্বাচনটা না হতেও পারতো। হয় আমাদের জেলে থাকতে হতো, না হয় আমাদের দেশ থেকে পালাতে হতো। সে ধরণের সিচুয়েশন সোনারগাঁয়ে করতে চেয়েছিলো।

প্রস্তাবিত কমিটির যারা নির্বাচনে ছিলো না তাদেরকে দেখতে চান না উল্লেখ করে সভাপতি ও সেক্রেটারি বরাবর প্রশ্ন ছুড়েন আওয়ামী লীগের এ নেতা। এমনকি দল থেকে বাদ দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। 

তিনি বলেন, আমরা কাঁচপুরে অবস্থান করতাম কারা? কাঁচপুরেও তো আমাদের অনেক নেতৃবৃন্দ ছিলো তাদের তো মাঠে দেখি নাই। আমরা মাঠে নামতাম অনেক নেতা আসতো এবং দেখতো মাঠের পরিস্থিতি কি। যখন দেখতো প্রেসিডেন্ট সেক্রেটারির নেতৃত্বে মাঠ নিয়ন্ত্রণে তখন গাড়ি থেকে নেমে মিছিল দিতো। এতো বড় প্রস্তাবিত কমিটি কারো চেহারা আমরা দেখি নাই। যারা নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে নাই ও রাজপথে থাকে নাই তাদের কেনো আওয়ামী লীগের স্বীকৃতি দিবো। তাদেরকে কেনো আমরা প্রস্তাবিত কমিটিতে রাখবো। তারা তো লাঙ্গলের পক্ষে ভোট চেয়েছে। কেনো, কেমন আওয়ামী লীগ করে তাদের নাম দিলেন। আপনাদের প্রস্তাবিত নামের লোকেরাই তো নির্বাচন করে নাই। এ নামগুলোকে অব্যশই বাদ দিতে হবে। তারা দলে ডুকেছিলো নৌকাকে ডুবানোর জন্য। 

সোনারগাঁও উপজেলা শ্রমিক লীগের আহবায়ক রোবায়াত হোসেন শান্তুর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কায়সার হাসনাত।আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুল ইসলাম ভূইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফুজ্জামান, সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার, সোনারগাঁ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম রাসেল, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সাগরসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।

 

Back to top button