কর্মহীন নেতাদের সঙ্গে কোনো কর্মসূচীতেই যেতে চান না কুতুবপুরের তৃণমূল বিএনপি
কর্মহীন নেতাদের সঙ্গে কোনো কর্মসূচীতেই যেতে চান না কুতুবপুরের তৃণমূল বিএনপি
স্টাফ রিপোর্টার (Somoysokal) নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা থানার আওতাধীন একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন কুতুবপুর, এই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বিল্লাল হোসেন ও সেক্রেটারি হলেন মো. আনোয়ার হোসেন। তাদের দুজনের কারোই ১০ জন কর্মী নেই। তারা কিভাবে ইউনিয়ন বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ স্থানের দায়িত্ব পেলেন তার ব্যাখ্যা কেউ দিতে পারে না। এখন উপরে নির্দেশ মানতে বাধ্য তাই তৃণমূলের কোনো কর্মী সরাসরি তাদের বিপক্ষে কোনো কথা বলে না। তবে তৃণমূলের কেউই তাদের নেতৃত্ব মানতে চায় না।
সরজমিনে দেখা যায় সারা দেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা থানায়ও বিএনপির নেতাকর্মীরা আন্দোলন সংগ্রামের পথে। সেই ধারাবাহিকতায় ফতুল্লা থানার প্রতিটি ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা সক্রিয়। কিন্তু কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি-সেক্রেটারির সঙ্গে কোনো কর্মসূচীতে যেতে চায় না তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীরা। কুতুবপুর ইউনিয়ন থেকে অনেক নেতাকর্মী কর্মসূচীগুলোতে অংশ গ্রহণ করে তবে এককভাবে। যে কোনো কর্মসূচীতে একটা ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি-সেক্রেটারীও ২০-৩০ জন কর্মী নিয়ে যায়। ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি-সেক্রেটারি ৫ জন কর্মীও তাদের সঙ্গে নিতে পারেন না। এমনকি তাদের ব্যানারে কমিটির ৭১ জনও পাওয়া যায় না। তাই সভাপতি-সেক্রেটারি কৌশল খাটিয়ে থানা বিএনপির ব্যানারে ঢুকে যায় যেনো কেউ বুঝতে না পারে।
কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি-সেক্রেটারি প্রতি অনাস্থার কারণ জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বিএনপি নেতা বলেন, কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি-সেক্রেটারি অযোগ্য তারা কিভাবে এতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেলেন তা জানি না, তাদেরকে কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীরা কেউ মানতে চাই না। পদ অনুসারে সামনাসামনি তাদের সবাই সম্মান করে কিন্তু চোখের আড়াল হলে কেউ তাদের নামও শুনতে পারে না। কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির অনেক নেতাকর্মী আছে যারা সক্রিয় কিন্তু তারা সঠিক নেতৃত্বের কারণে সামনে এগোতে পারে না। তবে কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃত্ব যদি পরিবর্তণ করা যায় তাহলে ফতুল্লা থানার মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ইউনিয়ন বিএনপি হবে কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপি অন্যথায় ধিরে ধিরে কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপি নিস্তেজ হয়ে যাবে।