সারাদেশ

গু‌লি‌বিদ্ধ টিটুর পা‌শে জেলা বিএন‌পি

বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে চোখে আঘাতপ্রাপ্ত জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক এবং ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহীদুল ইসলাম টিটুর পাশে দাঁড়িয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি। তার সকল চিকিৎসা খরচ জেলা বিএনপি বহন করবে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন।
তারা বলেন, টিটুর চোখের বর্তমান অবস্থা এখনও বলা যাচ্ছে না। আগামী ৩-৪ সপ্তাহ পর এই সম্পর্কে বলা সম্ভব হবে। তার দুই চোখেই অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে সে বাসায় বিশ্রামে রয়েছেন। আগামী ৩ সপ্তাহ পর তাকে আবারও হাসপাতালে নেওয়া হবে। যদি দেশে সে পরিপূর্ণ চিকিৎসা না পায় তাহলে তাকে বিদেশে নেওয়া হবে। যা খরচ হবে সব জেলা বিএনপি বহন করবে।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে তার বাম চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি আর কখনো এই চোখে দেখতে পারবেন না। বর্তমানে তিনি ডান চোখ দিয়ে দেখতে পারলেও এই চোখ ঠিক হওয়া নিয়েও শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। তার দুই চোখে একাধিক অপারেশন করা হলেও এখনও চোখ থেকে সব স্প্রিন্টার বের করা সম্ভব হয় নি। বর্তমানে তার চোখে ওষুধ দিয়ে রাখা হয়েছে। আগামী দুই একদিনের মধ্যে তাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়া হবে। আগামী ৩-৪ সপ্তাহ পর তার চোখের সর্বশেষ অবস্থা বলা যাবে। এই চোখও নষ্ট হয়ে গেলে তিনি আর কিছুই দেখতে পাবেন না। এর আগে ঢাকার এক বেসরকারি হাসপাতালে অপারেশন করে মঙ্গলবার তার বাম চোখ থেকে একটি স্প্রিন্টার বের করা সম্ভব হলেও এখনো তার চোখে অসংখ্য স্প্রিন্টার রয়ে যায়। বুধবার এই চোখে আবারও অপারেশন করে আরও স্প্রিন্টার বের করা হয়। এর আগে সোমবার ডান চোখে অপারেশন করে এই চোখে জমে থাকা রক্ত পরিষ্কার করা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত তার চোখের উন্নতির কোনো অবস্থা বলা যাচ্ছে না। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও যুবদলের আহবায়ক গোলাম ফারুক খোকন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত শনিবার আমরা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে সিদ্ধিরগঞ্জে ডাচ বাংলা ব্যাংকের মোড়ে কেন্দ্রীয় বিএনপি ঘোষিত ঢাকার প্রবেশ পথে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলাম। সেইখানে বিনা উস্কানিতে আমাদের ওপর গুলি করা হয়। তাদের কারণে আজ আমাদের এক বিএনপির নেতার দুটো চোখ নষ্টের পথে। টিটুর চোখে গুলি নিয়ে আমি আর্ন্তজাতিক তদন্ত দাবি জানাচ্ছি। পুলিশ দ্বারা এ গুলির প্রমাণপত্র আমরা কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতাদের কাছে জমা দিয়েছি। এগুলোর আর্ন্তজাতিক তদন্ত দাবি করা হচ্ছে এবং সেই সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি। এর আগে সোমবার জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক এবং ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহীদুল ইসলাম টিটুর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মহাসড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালন করাকে কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে আমার দুটো চোখই আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এখনও পর্যন্ত আমি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছি। সোমবার আমার ডান চোখের অপারেশন করা হবে। অপারেশন সম্পন্ন করার পর আমার চোখের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে বলা যাবে। এখনও আমার চোখে রক্ত জমে রয়েছে। তা এখনো পুরোপুরি পরিষ্কার করা সম্ভব হয় নি। বর্তমানে বাম চোখে আমি কিছুই দেখতে পারছি না। মঙ্গলবার বাম চোখের অপারেশন করা হবে। কবে সম্পূর্ণ সুস্থ হতে পারবো তা সৃষ্টিকর্তাই ভালো বলতে পারবেন।
Back to top button