আচরণবিধি লঙ্ঘন, রাজাকারপুত্র মাকসুদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও রাজাকারপুত্র মাকসুদ হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা নির্বাচন অফিসার কাজী মো. ইস্তাফিজুল হক আকন্দ শনিবার এই কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠান। ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাঁকে এই নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে আপনি মোঃ মাকসুদ হোসেন আপনার নির্বাচনি এলাকার অলি-গলিতে শত-শত পোষ্টার অবৈধভাবে বিভিন্ন দেয়ালে সাঁটিয়েছেন। এছাড়াও অনুমতি ব্যতীত অবৈধভাবে নির্বাচনি ক্যাম্প স্থাপন করেছেন যা উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর বিধি ৮ এবং বিধি ১২ এর পরিপন্থী।
এমতাবস্থায়, উক্ত বিধিমালার বিধি ৮ এবং বিধি ১২ ভঙ্গের দায়ে কেন আপনার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা পত্র প্রাপ্তির ২৪ ঘন্টার মধ্যে লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হলো। অন্যথায় আপনার বিরুদ্ধে উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ ভঙ্গের দায়ে আইন ও বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণসহ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে প্রার্থীতা বাতিলের জন্য পত্র প্রেরণ করা হবে।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও রাজাকারপুত্র মাকসুদ হোসেনের ফোনে কল করা হলে তিনি কলটি রিসিভ করেননি। যার ফলে তার বক্তব্য সংযুক্ত করা হয়নি।
আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচনে অন্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এমএ রশীদ, মহানগর বিএনপির বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান মুকুল ও মাকসুদ হোসেনের ছেলে মাহমুদুল হাসান।