ছাত্রদলের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ
ঘটনার পর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম এ বিষয়ে বলেন, ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের পর বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্যসচিব রফিকুল ইসলাম মজনুসহ ২৫ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় পুলিশ। ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন এ সম্পর্কে বলেন, রাজধানীর রূপনগর থানায় ছাত্রদলের কর্মিসভায় স্থানীয় ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা ও পুলিশ হামলা করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি নাইটিঙ্গেল মোড়ের কাছে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় ছাত্রদলের ১০-১২ জন নেতা-কর্মী আহত হন। সেখান থেকে আটক করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশ বাধা দিলে ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় রাস্তায় পড়ে গিয়ে পুলিশের একজন উপপরিদর্শক (এসআই) সামান্য আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষের পর রফিকুল আলম মজনুসহ বিএনপি ও যুবদলের নেতা-কর্মীরা নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। এ সময় পুলিশ কার্যালয়ের সামনে যাকে পেয়েছে তাকেই আটক করে নিয়ে গেছে।
পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার আবদুল আহাদ এ সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানান, বিনা উসকানিতে পুলিশের ওপর হামলা হয়েছে। বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। এরই মধ্যে রফিকুল আলম মজনুসহ ১০-১৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন বলেন, ছাত্রদল কর্মীরা আকস্মিকভাবে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।