সময় আসলে বাবাধন টের পাইবা, ওবায়দুল কাদেরকে গয়েশ্বর
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সমালোচনা করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আমরা কিছু বললেই ওবায়দুল কাদের লাফ দিয়া উঠে। তারা বলে ‘বিএনপি আওয়ামী লীগকে ভারতের সেবা দেশ বানানো চেষ্টা করছে’। এখনো সেটা হওয়া বাকি আছে? আজকে ওবায়দুল কাদের বলেছে, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি নাকি দৃষ্টতা। অথচ খালেদা জিয়াকে জেলে রাখা যে কতটা অন্যায়, কতটা অবিচার; সময় আসলে বাবাধন টের পাইবা।
সোমবার (১ জুলাই) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি।
তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একটা মামলাও সঠিক না। এটা প্রতিবেশীদের খুশি করার জন্য। খালেদা জিয়ার অপরাধ, তিনি দেশবিরোধী চুক্তি করতে নারাজ, তিনি দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিতে রাজি নন। খালেদা জিয়া বলেছে আমাদের প্রতিবেশী দেশে আমাদের বন্ধু আছে, প্রভু নাই। আমরা প্রতিবেশী দেশের সাথে বন্ধুত্ব করতে চাই, কিন্তু তারা তো আমাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে চায়না। তারা প্রভুত্ব করতে চায়। ভারতের সাথে বাংলাদেশের স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক,যেই দেশ বড় তারাই স্বামী। বন্ধুত্ব আর স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক তো এক না। আওয়ামী বলে চায়নাও নাকি আমাদের বন্ধু। যেভানে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক আছে সেখানে চায়নার সাথে কি পরকিয়া।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে ও মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু’র সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় জাতীয় নির্বাহী কমিটির ঢাকা বিভাগ সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটো, বিএনপির কেন্দ্রীয় জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান মনির, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান, মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব, আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ইউসুফ আলী ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহম্মেদ, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি’র সভাপতি মাজেদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু, সাধারণ সম্পাদক এড. আঃ বারী ভূঁইয়া, রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র এড. মাহফুজুর রহমান হুমায়ূন, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক, সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, সদস্য ও সাহেদ আহমেদ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি আনোয়ার সাদাত সায়েম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহাবুব রহমান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাখাওয়াত ইসলাম রানা, জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি মন্টু মেম্বার, মহানগর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক এস এম আসলাম, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রহিমা শরীফ মায়া, মহানগর দলের সভাপতি দিলারা মাসুদ ময়না, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ হাসান ভূঁইয়া, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগরসহ জেলা ও মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ