রাজনীতি

মামলার হয়রানি’তে ফতুল্লা থানা বিএনপির নেতাকর্মীরা পরিবার ছাড়া

মামলার হয়রানি'তে ফতুল্লা থানা বিএনপির নেতাকর্মীরা পরিবার ছাড়া

 

স্টাফ রিপোর্টার (Somoysokal) ফতুল্লা থানা নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, মামলায় অজ্ঞাত হিসেবে যে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারে পুলিশ। তাই গ্রেপ্তার এড়াতে তারা রাতে বাড়িতে অবস্থান করছেন না। এমনকি দিনের বেলায়ও সতর্কের সাথে চলাফেরা করছেন। অন্যদিকে যাদের এজাহার নামীয় মামলার আসামী করা হয়েছে, তাদের অনেকেই পরিবার ছাড়া হয়েছেন।

সারাদেশে বিএনপি আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারি ধারাবাহিকতায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপির উদ্যোগে এক বিশাল জনসমাবেশ করা হয়েছে। বিএনপি নেতাদের বাদী এই সমাবেশ দেখে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নড়েচড়ে বসেছেন তাদের ইশারায় পুলিশ ফতুল্লা থানায় একটি ভুয়া, মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা সাজিয়েছেন।

ফতুল্লা থানায় দায়ের করা মামলার লিস্টে থাকা ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ-সভাপতি হাজী শহীদুল্লাহ্ ‘র কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলন সংগ্রামের ভয়ে পুলিশ মনগড়া ঘটনা তৈরী করে নেতাকর্মীদের মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। মামলায় যে কারণ দেখানো হয়েছে সেই ধরনের কোনো কর্মকান্ড আমরা করি নাই এমনকি ঐদিন আমাদের কোনো কর্মসূচীও ছিলো না। আমার মনে হয় কি জ্বিন-ভূত এসে এগুলো করেছে তাই পুলিশ মামলা দিয়েছে। সাধারণ মানুষের কাছে এসব বিষয়গুলো হাস্যকর তবে অন্যায়ভাবে আমাদের হয়রানি করছে আল্লাহ এর বিচার একদিন করবে।

একই বিষয়ে কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন, বলেন, যেহেতু আমরা রাজনীতি করি, কারাগারে যেতে সমস্যা নেই। তবে এই মুহূর্তে পুলিশ যে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের উপর মানসিক অত্যাচার চালাচ্ছে, তাতে স্থানীয় সরকারি দলের নেতাকর্মীদের সমর্থন রয়েছে। মারধর ও অপমানের ভয়ে আমরা গ্রেপ্তার এড়াতে ঘরবাড়ি এবং পরিবার ছাড়া হয়েছি। এসব গায়েবী হামলা মামলা দিয়ে আমাদের কিছু করা যাবে না। মূলত সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুলিশ আমাদের হয়রানি করছে। যাতে করে আমরা কোনো আন্দলোন সংগ্রাম করতে না পারি, তবে আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম তারা কোন ভাবেই আটকাতে পারবে না।”

এবিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি মো. নূরে আযম মিয়া’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলার এজাহার ভুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। এখন পযন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি তবে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, গত রোববার (১ অক্টোবর) ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে ফতুল্লায় বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগে ৩৯ জন বিএনপি নেতার নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় দায়ের করা হয়েছে।

Back to top button