Uncategorized

মনোনয়ন বাতিল চেয়ে গিয়াসউদ্দিনের চিঠি

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র বাতিল চেয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠি পাঠিয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি মুহামম্দ গিয়াসউদ্দিন। সোমবার (২৭ নভেম্বর) সকালে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী ইস্তাফিজুল হক আকন্দ বরাবর এই চিঠি দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

এদিকে মনোনয়নপত্র বাতিল চেয়ে জেলা নির্বাচনে কর্মকর্তার কাছে পাঠানো গিয়াসের একটি চিঠি সাংবাদিকরা পেয়েছেন। তবে গিয়াসের কোনো চিঠি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা পাননি বলে জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী ইস্তাফিজুল হক আকন্দ বলেন, এমন কোন আবেদনপত্র আমার কাছে পৌঁছায়নি। তা ছাড়া, মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার আগে তা বাতিলের সুযোগ নেই নির্বাচনী বিধিমালায়। সাধারণত মনোনয়নপত্র জমা না দিলে এমনিতেই বাতিল হয়ে যাবে। আর জমা দেয়ার পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রত্যাহার করতে হয়।

গিয়াসের ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, আমি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, সভাপতি নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি, সদস্য, নির্বাহী কমিটি, বাংলাদেশ জাতধীয়তাবাদী দল এবং সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য, নারায়ণগঞ্জ-৪। গতকাল সন্ধ্যায় আমাকে কয়েকজন সাংবাদিক ফোন করে জানতে চান যে, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত ৭ই জানুয়ারী ২০২৪ নির্বাচনে নির্বাচনী আসন নারাণগঞ্জ-৪, এর জন্য আমার এবং আমার ছেলে জি.এম কায়সার এর নামে মনোনয়ন পত্র কিনেছি কিনা? আমি এই প্রশ্নের উত্তরে সাথে সাথে তাদের জানাই মনোনয়ন পত্র কিনার বা তোলার প্রশ্নই উঠে না। তখন তারা বলে এই সংবাদটি তারা আপনাদের অফিস থেকে জেনেছে এতে আমি বিস্মিত হয়ে যাই। সাথে সাথে আমি আমার পক্ষ থেকে এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বিভিন্ন স্থানীয় মিডিয়াকে জানাই। এবং সাংবাদিক ভাইদের মধ্যে যারা আমার সাথে যোগাযোগ করেন তাদেরকে এই বিষয়টি মিথ্যা ষড়যন্ত্র এবং বিশেষ উদ্দেশ্যে প্রচারিত বলে তার প্রতিবাদ জানাই।

আজ কয়েকটি পত্রিকায় এই বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে দেখতে পেলাম। আমি আপনাকে দৃঢ়তার সাথে জানাতে চাই আমি এবং আমার ছেলে আপনার কার্যালয় থেকে আমাদের নামে কাউকে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করার জন্য বলি নাই এবং ক্ষমতা পত্র দেই নাই। যদি কেউ আমাদের নামে মনোনোয়ন পত্র তুলে নিয়ে থাকে তাহলে আমি বলতে চাই কি করে আমার মত একজন রাজনৈতিক দায়িত্বশীল মানুষের মনোনয়ন পত্র প্রদানের সময় মনোনয়নপত্র গ্রহন কারীর নিকট আমাদের দেওয়া কোন অনুমতি পত্র বা ক্ষমতা পত্র আছে কিনা, তা যাচাই করলেন না? এবং আমাদের সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাইলেন না?

আমি যুদ্ধকালীন একজন মুক্তিযোদ্ধা অধিনায়ক। আমি মুক্তি যুদ্ধের আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য সরকারের পদত্যাগ এবং সুষ্ঠ নির্বাচনের মাধ্যমে মুক্তি যুদ্ধের আদর্শ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা, আইনের শাসন এবং জনগনের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠাকরার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি। এই সংগ্রাম সফল না হওয়া পর্যন্ত আমি এবং আমার সান্তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পতাকাতলে থেকে আন্দোলন চালিয়ে যেতে বদ্ধ পরিকর কোন লোভ, লালসা এবং প্রলোভন আমাদেরকে আদর্শযুক্ত করতে পারবে না।।

আমার এবং আমার সন্তানের নামে যদি আপনারা কারো নিকট মনোনয়ন পত্র বিক্রি বা প্রদান করে সাথে আমার এবং আমার সন্তানের কোন সম্মতি এবং সম্পর্ক নাই। তাই অনুগ্রহ করে মনোগম্বর গরমে দুহিট নাতিল ঘোষণা করার প্রয়োগুলীয় বাবস্থা নিয়ে আমাকে অবহিত করবেন।

 

Back to top button