নৌকায় পা মোশাররফের, মনোনয়ন কিনে যা বললেন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছেন সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে তিনি নিজের মনোনয়ন ফরম কেনেন। আগামীকাল রোববার (১৯ নভেম্বর) সকালে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দেবেন বলে জানা গেছে।
তিনি আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়ে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের ভোটারদের কাছে দোয়া চান। আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেন্ত্রী শেখ হাসিনার আর্শিবাদে দলীয় মনোনয়ন পেলে নৌকা প্রতীকের বিজয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এসময় গণমাধ্যমকে মোশাররফ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সহযোগী হতে চাই।আশা করি জননেত্রী শেখ হাসিনা আবারও প্রধানমন্ত্রী হবে এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে।
জনগন আপনাকে কেনো ভোট দিবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সোনারগাঁয়ের মানুষ এখন নতুনদের প্রত্যাশা করে। এখানে সাড়ে তিন লাখ ভোটার রয়েছে। তারপরও এখানকার মানুষ এমপি পায় নি। বিগত সময়ে যারা করেছে তারা মানুষকে অপমান লাঞ্চিত করেছে। তাদের থেকে মানুষ এখন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। কারণ তারা নৌকা পেলে আওয়ামী লীগ, না পেলে জ্বালাও পোড়াও ডোবাও করে এমন নজির সোনারগাঁয়ে রয়েছে। সোনারগাঁয়ের মানুষের মধ্যে এখনো সেই ক্ষোভ রয়ে গেছে। মানুস চাচ্ছে তাদেরকে যেনো নৌকা প্রতীক না দেয়। আমি সোনারগাঁয়ের নৌকা মনোনয়নের প্রত্যাশী। আমি প্রত্যাশা করি শেখ হাসিনা আমাকে নমিনেশন দিবে।
মোশাররফ বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্য জান প্রাণ দিয়ে কাজ করছি। এমপি না হয়েও সোনারগাঁয়ে সেবামূলক কাজ করছি। যদি আমি সুযোগ পাই সোনারগাঁয়ে আরও ব্যাপক উন্নয়ন হবে। যদি নৌকা পেয়ে বিজয়ী হতে পারি আমার একটা ইচ্ছে আমি একটা মেডিকেল কলেজ করবো।যেটা হবে বাংলাদেশের দু-চারটার মধ্যে একটা। আর শিক্ষা ব্যবস্থাকে মানুষের দোরগোড়ায় নিয়ে যাবো।
মোশাররফ চেয়ারম্যান কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের টানা দুইবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান। তার ছোট ভাই বাবুল ওমর বাবু সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান।মোশাররফ চেয়ারম্যানের বাবা মৃত ওমর আলী মিস্ত্রি ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী শ্রমিক লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও দেশ স্বাধীনের পর সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন। আদমজী জুট মেইল, বাওয়ানী টেক্সটাইল ও চিত্তরঞ্জন এর সিবিএ নেতা ছিলেন। দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু মুজিব খামারের প্রতিষ্ঠা করেন ।১৯৭৪ সালে কৃষিতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য বঙ্গবন্ধু কৃষি পদক এ ভূষিত হোন। একইসালে সোনারগাঁ উপজেলার অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কাঁচপুর ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।