‘টিপু উগ্র উশৃংখল বেয়াদব’
কোনোভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খাঁন টিপুকে। একেরপর এক অভিযোগে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে নারায়ণগঞ্জের বিএনপির শীর্ষ নেতা নেত্রীরা। কখনো সভা মিছিলে ফোনে নেতাদের গায়ে হাত কর্মীদের ধাক্কার অভিযোগ ও ফোনে অকথ্য ভাষায় গালাগালি যেনো পিছু ছাড়ছে না তাকে।
সবশেষ ১৮ আগষ্ট মহানগর বিএনপির গনমিছিলে মহিলা দলের এক নেত্রীকে গা ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ উঠে টিপুর বিরুদ্ধে। পরে ওই নেত্রী কারো শান্তনা না পাওয়ায় কান্না করতে করতে চলে যায়। এরকম অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এবার ওই টিপুকে উগ্র, উশৃংখল, মস্তিষ্ক বিকৃত, বেয়াদব বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর মহিলা দলের সাধারন সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সবচেয়ে আলোচিত নারী কাউন্সিলর (সংরক্ষিত) আয়শা আক্তার দিনা।তার সাথেও খারাপ আচরণ করার অভিযোগ তুলে ধরে সামাজিক মাধ্যমে স্ট্যাটাস দেন আলোচিত এ নারী কাউন্সিলর।
সেখানে তিনি বলেন, মাহমুদ ভাই এর মত মহানগরের এক জনসভায় আমিও মরতে বসে ছিলাম। দ্রব্য মূল্য উর্ধ গতির কারনে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আয়োজিত প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়েছে। প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন জনাব মির্জা আব্বাস ভাই। টিপু ভাই রাতে আমাকে ফোনদিলো প্রোগ্রামে আসার জন্য। টিপু ভাই নিজেও জানে আমি দীর্ঘ দেড় বছর যাবত শারীরিক ভাবে অসুস্হ।একদিন একটু সুস্থ হলে পাচ দিনই বিছানায় পরে থাকি।তারপরেও মন মানেনা।মাঝে মাঝে জোর করেই নানান প্রোগ্রামে যাই।তো যেদিন মির্জা আব্বাস ভাই আসবে তার আগের দিন টিপু ভাই যখন আমাকে ফোন দিল আমি তখনই তাকে বললাম ভাই জেলা ও মহানগর মিলিত প্রোগ্রাম শহীদ মিনারে করবেন কেনো।বড় কোন যায়গায় করতেন।এত ছোট যায়গায় মহানগরের লোকইতো ধরবোনা তারপর জেলা।আর যে ভয়াবহ গরম পড়েছে মানুষ তো অসুস্থ হয়ে যাবে।আমাকে ধমক দিয়ে বললো বেশি পাকনামি করবিনা। আমার থেকে বেশি বুঝবিনা।আমি আর কথা না বাড়াইয়া ফোন কেটে দিলাম।পরপর দিন প্রোগ্রামে গেলাম।আমাকে দেখেই টিপু ভাই এমন একটা চেহারা করলো মনে হয় তার শত্রু আসছে।ঐযে আগের দিন শহীদ মিনারে প্রোগ্রাম করতে না করছি এইটাই আমার অপরাধ।
তারপর আমি চুপচাপ শহীদ মিনারের সিড়িতে বসে রইলাম।একে একে জেলার আর মহানগরের নেতা কর্মীরা আসতে শুরু করলো।কিযে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো।মানুষের চাপ,গরম একাকার হয়ে গেলো।সবাই ঘেমে একাকার।গিয়াস ভাই এসেই টিপু ভাই এর উপর রেগে গেলো এখানে কেন প্রোগ্রাম করলো।এত ছোট যায়গায় কেনো।তারপর যখন প্রধান অতিথি আসলো মির্জা আব্বাস ভাই তখন তো মানুষে যে উপচে পড়া ভীড় আর ঠেলাঠেলি। একদিকে ঘেমে একেকজনের এমন অবস্থা যেনো গোসল করে ফেলছে।অস্বাভাবিক গরম,ঘাম,মানুষের ঠেলাঠেলি। আমি তখন হঠাত ফিল করলাম আমার বমি আসতাছে আর মাথা ঘোরতাছে।শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে।এরই মধ্যে আব্বাস ভাই এসে ক্ষেপে গেলো।এত ছোট যায়গায় প্রোগ্রাম করার কারনে।গিয়াস ভাই তাকে ঠান্ডা মাথায় বুঝিয়ে চেয়ারে বসালো।আমি আর থাকতে পারছিলামনা বমি চলে আসছে প্রায়।আমি তাড়াতাড়ি মনে মনে দুরুদ শরীফ পরছি আর দৌড় দিয়ে শহীদ মিনারের পিছনে গিয়ে বমি করলাম।তখন শরীল একেবারে ল্যং ছেরে দিলো।সাথে সাথে আমার ছাত্রদলের কলিজার টুকরারা দেখে আমার জন্য ঠান্ডা পানি আনলো,কেউ পোস্টার দিয়ে বাতাস করতে থাকলো।আমি বাকি অনুষ্ঠান জুড়ে শেষ পর্যন্ত শহীদ মিনারের পিছনেই বসে রইলাম। বসে বসে শোনলাম প্রধান অতিথির বক্তব্য। আব্বাস ভাই বললেন আজ বাংলাদেশের আরো অনেক যায়গায় এই প্রতিবাদ সমাবেশ হচ্ছে কিন্তু নারায়ণগঞ্জের মত এত ছোট যায়গায় কোথাও প্রোগ্রাম হচ্ছে না।ভবিষ্যতে আর কখনো এই শহীদ মিনারে যেনো বিএনপির কোন প্রোগ্রাম না হয় কারন বিএনপি একটি বৃহত দল।বিএনপির সমাবেশ হবে বৃহত যায়গায়।পরিশেষে প্রোগ্রাম শেষে বাসায় চলে আসলাম।
আমি রাতে টিপু ভাইকে কোন করে বললাম ভাই আমি আপনাকে বলছিলাম গতকালই এত ছোট যায়গায় প্রোগ্রাম কইরেননা।সে সাথে সাথে আমার উপর ক্ষেপে গেলো।আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি শুরু করলো আরো বললো প্রোগ্রামে এসে আমি নাকি অসুস্থ হওয়ার অভিনয় করেছি।কথাটা শুনে এত কষ্ট লাগলো।তারপর তার সাথে আমার কথা কাটাকাটি হলো।তার অকথ্য গালাগালিতে আমি সহ্য করতে না পেরে তাকে ব্লক মেরে দিলাম হোয়াটসঅ্যাপে।এরপর সিদ্ধান্ত নিলাম এডভোকেট সাখাওয়াত ভাই এর কাছে বিচার দিব পরে ভাবলাম তার উগ্র আচরণের কাছে সাখাওয়াত ভাই এর মত ভদ্রলোক অসহায়।মহানগর বিএনপির টিপু ভাই অঘোষিত আহ্বায়ক, তিনিই সদস্য সচিব, তিনিই প্রচার সম্পাদক, তিনিই সঞ্চালক, উপস্হাপক তিনিই সব।কার কাছে বিচার দিব।তাই মনের দুঃখে অপমান সহ্য করে সিদ্ধান্ত নিলাম অন্তত টিপুর মত অভদ্র যতদিন মহানগরের কমিটিতে আছে ততদিন আর যাবনা।কারন রাজনীতি আমার পেশা না রাজনীতি আমার নেশা।রাজনীতি করে অনেকের মত আমি আমার সংসার চালাইনা।আমি আমার স্বামীর টাকায় রাজনীতি করি।কেউ রাজনীতি করে বাড়ী করে আর আমি রাজনীতি করে বাড়ীঘর বেচে ফেলেছি।আমার আত্মসম্মান আমার কাছে আগে।আমাকে টিপু ভাই সেদিন যেসব অশালীন গালাগালি করেছিল আমি তাকে বললাম আপনার বয়স হয়েছে দাড়ী রেখেছেন মেয়ে বিয়ে দিছেন আপনি মহানগরের সদস্য সচিব হয়েছেন এসব ভাষায় কথা বলা আপনাকে শোভা পায়না।আপনার আচরনে সহনশীলতা নমনীয়তা আসা উচিত।
মাহমুদ ভাই যেদিন মারা গেলো যখন সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পরছিলো তখন যখন অন্যান্ন নেতা কর্মীরা তাকে জানালো সে তার চিকিৎসার টাকাও ঠিক মত দিলোনা।টিপু ভাই নাকি ফটো সেশনে বিজি ছিলো পত্রিকা মারফত জানতে পারলাম।অবশেষে এখন মনে হচ্ছে ছাগল দিয়ে হাল চাষ হয়না।গিয়াস ভাই, কালাম ভাই,রেজাউল করিম ভাই, কমান্ডার সিরাজ চাচা,বর্তমানে আজাদ ভাই, দীপু চৌধুরী ভাই,মান্নান ভাই ওনাদের ব্যক্তিত্ব আর ভদ্রতার কাছে প্রতিটা নেতাকর্মী এমনিতেই নমনীয় ভাবে কথা বলে।আসলে বনেদী পরিবারের জন্ম ওনাদের ওনাদের মত ব্যক্তিত্ব টিপুর মত লোকের কাছে আশা করা বোকামী।টিপু একটা উগ্র, উশৃংখল, মস্তিষ্ক বিকৃত,বেয়াদব মানুষ।তার সদস্য সচিব হওয়ার জন্য আমি কোথায় কোথায় রিকোয়েস্ট করেছি তা তিনি ভালো জানেন।তখন আমার বাসায় এসে আমাকে তার দুই মেয়ে যেমন আমিও নাকি তার সন্তানের মত তার কাছে।এসব লোকের স্বার্থের জন্য নমনীয় হতেও সময় লাগেনা আবার স্বার্থ পূর্ণ হয়ে গেলে উগ্র হতেও দেরি লাগেনা।আমি মনে করি মাহমুদ ভাই এর মৃত্যুর জন্য উনার অবহেলা দায়ী,,,,,,,,,, চলবে।’’