সারাদেশ

সালিশ বৈঠকে হোসিয়ারি শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যায় আসামী ১৯

বন্দরে বিচার-সালিশ বৈঠকের সময় হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আলমগীর হোসেন (৫০) নামে এক হোসিয়ারি শ্রমিক ও ২১নং ওয়ার্ড শ্রমিক দলের সভাপতিকে পিটিয়ে হত্যায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

রোববার (৫ অক্টোবর) দুপুরে নিহতের ছোট বোন কল্পনা বেগম বাদী হয়ে সোয়েব, আশরাফুল প্রকাশ কালু ও পারভেজসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন।

নিহত আলমগীর হোসেন বন্দর শাহীমসজিদ এলাকার মৃত সোহবান মিয়ার ছেলে। তিনি মালেক সিকদারের বাড়ির ভাড়াটিয়া ছিলেন।

মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, নিহত আলমগীরের ভাতিজা মুন্না ও শালিসে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে টাকা-পয়সা লেনদেন নিয়ে বিরোধ চলছিল। শালিস চলাকালীন আলমগীরকে তার ভাড়া বাসা থেকে ধরে নিয়ে আসা হয় এবং তার উপর হামলা শুরু হয়। ঘটনার সময় আসামিরা পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী একে অপরের সহায়তায় তাকে হাতুড়ি, লাঠি-সোটা ও এসএস পাইপ দিয়ে মারধর করে। বিশেষভাবে, একজন হামলাকারি হাতুড়ি দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে এবং অপর ব্যক্তি সুইচ গিয়ার দিয়ে মাথার পিছনের অংশে আঘাত করে। হামলাকারীদের ক্রমাগত আক্রমণের ফলে আলমগীর মাটিতে পড়ে যায়।

ভিকটিমের ছোট বোন ও ভাতিজা মুন্না ঘটনাস্থল থেকে সাহায্য নিয়ে আলমগীরকে উদ্ধার করে প্রথমে বন্দর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ৪ অক্টোবর রাত পৌনে ৮টার দিকে মারা যান।

বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনার বিষয়ে হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ ইতোমধ্যেই আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান শুরু করেছে।

Leave a Reply

Back to top button