রাজনীতি

রাজাকার পুত্রের ছত্রছায়ায় পলিথিন জাকির!

আসন্ন সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩ এর নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী রাজাকার পুত্র অধ্যাপক আবু জাফর চৌধুরী বীরুর ছত্রছায়ায় আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রকাশ্যে শোডাউন করতে দেখা গেছে সোনারগাঁয়ে হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামী হকার থেকে কোটিপতি হওয়া পলিথিন জাকিরকে। যা এখন পুরো সোনারগাঁ নয় টক অফ দ্যা নারায়ণগঞ্জে পরিনত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে দেখা যায়, সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর এলাকায় একটি অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে প্রশাসনকে বৃদাঙ্গুলি দেখিয়ে রাজাকার পুত্র বীরুর সাথে পিরোজপুর এলাকার হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলার আসামী জাকির হোসেন ওরফে পলিথিন জাকিরের একসাথে কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে তৃনমূল নেতাদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

সূত্র জানিয়েছে, আবু জাফর আহমেদ বিরু স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক। ছাত্র জীবনে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে লেখাপড়ার সময় ছাত্র শিবিরের রাজনীতি করতো। তার বাবা নূর মোহাম্মদ চৌধুরী ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার বিপক্ষে কাজ করেন। তিনি সোনারগাঁয়ের প্রখ্যাত রাজাকার এসএম সোলায়মানের সহযোগী ছিলেন। তিনি পাকিস্তান আমলে কৃষিমন্ত্রী ছিলেন। বিরুর আরেক আপন ছোট ভাই লিটন চৌধুরী সোনারগাঁয়ে জামপুর ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সভাপতি। তার ভগ্নিপতি মিয়া আব্বাস ছিলেন বাগেরহাটের সাবেক এমপি। যুদ্ধাপরাধ হয়ে পালিয়ে কানাডায় মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি ছিলেন ২০ দলীয় জোটের আমলের এমপি। আরেক বোন জামাতা আবদুল মালেক মিয়া জামায়াতের ইসলামের রোকন। তিনি নারায়ণগঞ্জের হেফাজতের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপে জড়িত। তিনি হেফাজতের মামলারও আসামী।’

অপরদিকে পলিথিন জাকির ২০১২ সালে রিপন হত্যা, ২০১৪ সালে সাধন হত্যা ও ২০১৫ সালে গোলজার হত্যা মামলার আসামী ছিলেন। ২০১৭ সালে মার্চ মাসে সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগ সম্মেলনের মাধ্যমে তৎকালীন দুটি হত্যা মামলাসহ প্রায় ডজন মামলার আসামি জাকিরকে পিরোজপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে বিভিন্ন মামলার ভয় দেখিয়ে কোটি টাকার বানিজ্য শুরু করেন তিনি।

তৃনমূলের নেতারা বলছেন, কান্দারগাঁও এলাকার দাগী আসামী বিতর্কিত জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে এলাকায় মানববন্ধন, ঝাড়– মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করেছেন এলাকার সাধারণ মানুষ। তার নাম শুনলেই আঁতকে উঠেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। শেষ পর্যন্ত সেই রাজাকারের ছেলে অধ্যাপক আবু জাফর চৌধুরী বিরুর সাথে তাকে দেখা গেছে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষন করেন তারা।

Back to top button