সারাদেশ

জনসমাবেশে লোকসমাগমে রেকর্ড ভাঙলেন জেলা বিএনপি

সরকারের পদত্যাগসহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার লক্ষ্যে এক দফা দাবিতে জনসমাবেশ করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি।

বুধবার ( ২৭ সেপ্টেম্বর ) বিকেল তিনটায় ফতুল্লা সাইনবোর্ডস্থ পাসপোর্ট অফিসের পিছনে এ জনসমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খাঁন।

এদিকে জনসভার সময় ২টা হলেও নেতাকর্মীরা দুপুর ১২টা থেকেই আসতে শুরু করেন। স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত করতে থাকেন ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সাইনবোর্ড সড়ক। তাদের হাতে ছিল জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের রংবেরঙের ব্যানার-ফেস্টুন। দুপুর ১টায় প্রধান অতিথি ও আমন্ত্রিত অতিথিদের আসনের পর পাসপোর্ট অফিসের পাশের রাস্তার দুই কিলোমিটার অবধি শুধুই জনস্রোত। এক পর্যায়ে সমাবেশস্থলের জনস্রোত রূপ নেয় জনসমুদ্রে।

জানা যায়, অনুষ্ঠানটি কেন্দ্র ঘোষিত হলেও মূলত নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী শামীম ওসমানকে দেখাতে এ সমাবেশের আয়োজন করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন। বিষয়টি অনুষ্ঠানে প্রকাশ না করলেও সমাবেশের রাতে এক স্ট্যাটাসে তিনি জানান, কেউ কেউ হুমকি দেয় বিএনপিকে নারায়ণগঞ্জে দাঁড়াতে দিবে না। আমি তাদের হুমকির বিরুদ্ধে আজকের এই জনসভা প্রমাণ দিয়ে গেলাম। বিএনপিকে দমানোর শক্তি তাদের নেই, এই জনসভায় তার প্রমাণ।

তবে সমাবেশে আসা নেতারা বলেন, দীর্ঘদিন পর এ সমাবেশ জনসমুদ্রে রুপ নিয়েছে। এর কারণ জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকনের সুযোগ্য নেতৃত্বের কারণে। তাদের নেতৃত্বে জনসভা মানেই লাখো লোকের সমাগম। শুধু নারায়ণগঞ্জেও না যখন থেকে তারা দায়িত্বে এসেছেন ঢাকার প্রত্যেকটি কর্মসূচিতে সর্বোচ্চ লোক জমায়েত হয়েছে। এবার সেই পুরনো ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে বিশাল লোকসমাগমে নিজেদের রেকর্ড নিজেরাই ভেঙে এক নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। আজকের এ জনসমাবেশে লাখ লোকের মিছিল হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও গোলাম ফারুক খোকনের সঞ্চালনায় জনসমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক ও বিএনপি’র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী শফু, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটু, বিএনপির নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ- সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান মনির, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান, মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য ইশরাক হোসেন।

এছাড়াও আরও উপস্থিত জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজিব, আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ইউসুফ আলী ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহম্মেদ, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি’র সভাপতি মাজেদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. আঃ বারী ভূঁইয়া, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার, রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র এড. মাহফুজুর রহমান হুমায়ূন, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক, সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, যুগ্ম আহবায়ক খাইরুল ইসলাম সজিব, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহাবুব রহমান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাখাওয়াত ইসলাম রানা, জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি মন্টু মেম্বার, মহানগর শ্রমিকদলের আহ্বায়ক এস এম আসলাম, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রহিমা শরীফ মায়া, মহানগর দলের সভাপতি দিলারা মাসুদ ময়না, সাধারণ সম্পাদক আয়শা্ আক্তার দিনা,  জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদ হাসান ভূঁইয়া, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগরসহ জেলা ও মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। 

Back to top button