রাজনীতি

ফতুল্লায় বিএনপির কয়েকটি গ্রুপে বিপাকে তৃণমূল নেতাকর্মীরা

ফতুল্লায় বিএনপির কয়েকটি গ্রুপে বিপাকে তৃণমূল নেতাকর্মীরা

আশিক রাজা (Somoysokal) নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা থানা বিএনপি কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে আছেন। জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াসউদ্দিনের একটি গ্রুপ রয়েছে। অন্যদিকে শিল্পপতি বিএনপি নেতা শাহাআলমের একটি গ্রুপ রয়েছে। তাছাড়াও জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদেরও একটি গ্রুপ রয়েছে। সবচেয়ে টার্নিং পয়েন্টে থাকা ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল টিটুরও একটি শক্তিশালী বিশাল গ্রুপ রয়েছে। তিনি জেলা যুবদলের সভাপতি থাকাকালীন সময়েই একটি বিশাল গ্রুপ সৃষ্টি হয়েছে তার। তার অনুসারীরা বর্তমানে ফতুল্লার রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছে। বিএনপির সিনিয়র নেতাদের ছাড়াও থানা পর্যায়ে বিএনপি নেতাদেরও নিজস্ব গ্রুপ রয়েছে। ফতুল্লা থানা বিএনপির এই গ্রুপিং রাজনীতির কারণে বিপাকে পড়েছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

 

ফতুল্লা থানা বিএনপির রাজনীতি নিয়ে সরজমিনে তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে দেখা যায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে এই গ্রুপিং রাজনীতির চর্চা হচ্ছে। জেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াসউদ্দিন আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাই ফাতুল্লা থানা বিএনপির কোনো নেতাকর্মী তার মিটিং মিছিলে না গেলেই তাকে প্রতিপক্ষ ভেবে কোনঠাসায় রাখার চেষ্টা করছে। তার প্রতিফলনে ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অনেক বিএনপি নেতাকর্মীদের নামেও মামলা হয়েছে।

 

এদিকে ফতুল্লার সন্তান বিএনপি নেতা শিল্পপতি শাহাআলম একজন সফল ব্যবসায়ি যার কারণে অর্থ সম্পদের গরমে নেতাকর্মীদের কাছে টানতে পারেন খুব সহজেই। তিনিও বিএনপির মনোনয়ন চাইবেন এবং ইতিমধ্যে তার অনুসারীরা মাঠে প্রচার প্রচারণা করে যাচ্ছে।

 

সবাই মনোনয়ন চাওয়া নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও ফতুল্লা থানা বিএনপির মাথা অর্থাৎ সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি নিজে থেকে সংসদ নির্বাচনে কোনো মনোনয়ন চাইবে না। তবে দল যদি তাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে তিনি নির্বাচন করবে। অন্যথায় তিনি দল যাকে মনোনয়ন দিবে তার পক্ষে নির্বাচন করবে। তিনি বর্তমানে তারেক রহমানের নির্দেশে দলকে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে ফতুল্লার এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত ছুটে বেড়াচ্ছেন।

 

তাছাড়া বিএনপির আরেক নেতা যার বাড়ি সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অবস্থিত হলেও বিএনপির মনোনয়ন চাওয়া নিয়ে ফতুল্লায় তার নাম অটোমেটিক চলে আসে। তিনি হলেন জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। ফতুল্লা থানা বিএনপির রাজনীতি’তে তার অনেক অনুসারী রয়েছে।

 

এদিকে ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী ঘোষণা দিয়ে দিছেন তিনিও আগামীতে সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন চাইবে।

 

এই মনোনয়ন চাওয়া নিয়েই ফতুল্লা থানা বিএনপির মধ্যে গ্রুপিং রাজনীতি হচ্ছে। কিন্তু গ্রুপিং রাজনীতি করছেন বড় বড় নেতারা আর মাসুল দিচ্ছে তৃণমূলের কর্মীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফতুল্লা থানার একজন বিএনপি নেতা বলেন, আমরা যারা তৃণমূলে আছি আমাদের হয়েছে বিপদ। আমরা তো কোনো ব্যক্তির রাজনীতি করি না, এখন একজনের কাছে গেলে অন্যজন নারাজ হন। তাই আমরা কার কাছে যাবো বুঝতে পারছি না। আমরা দলকে ভালোবাসি তাই বিএনপির রাজনীতি করি। বড় বড় নেতাদের গ্রুপিং রাজনীতির কারণে আমরা পড়েছি বিপাকে।

Back to top button