নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন বলেছেন, রুপগঞ্জের উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে বড় বাঁধা হলো মাদক। রুপগঞ্জে গোলাম দস্তগীর গাজী যেসব জনপ্রতিনিধিদের সিলেক্ট করেছিলো তারা মাদক বিক্রেতা ছিলো। যারা খুনি তাদেরকেও প্রতিষ্ঠিত করেছিলো। আজকে তারা মানুষের সাথে ছিলো না বলে ইউনিয়ন পরিষদগুলো খালি হয়ে আছে। আজকে কাউন্সিলরাও ডুকতে পারে না কারণ, তারা অস্ত্র ও মাদকের সাথে জড়িত ছিলো।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিভিন্ন রাজনৈতিক দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নবাগত রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভায় অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।
নবাগত ইউএনও’র উদ্দেশ্যে খোকন বলেন, আমরা চাই যৌথ বাহিনী সাথে নিয়ে অবিলম্বে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হোক। আমরা আপনাদের পাশে থেকে সহায়তা করবো। এখানে কোন দলীয় লোকেরা চাঁদাবাজি, অস্ত্রবাজিতে জড়িত ছিল না। আমরা এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি।
দলীয় নেতাকর্মীদের কড়া বার্তা দিয়ে বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বলেন, কোন অনুপ্রবেশকারী; যারা আগে আওয়ামী লীগ করেছে, অস্ত্রের রাজনীতি করেছে, আপনারা কেউ নিজেদের শক্তিশালী করার জন্য ওদের প্রশ্রয় দিবেন না। আমি সাবধান করে দিতে চাই। আমার কাছে সকলের নাম আছে। আমি তাদের কাউকে ছাড় দেব না। আমার সাথে আন্দোলন সংগ্রাম করে থাকলেও কেউ যদি চাঁদাবাজি ও লুটপাট করে আমি ছাড় দেব না। তারেক রহমান বলেছেন এদের পুলিশে সোপর্দ করতে এবং তাদের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা নিতে।
খোকন চনপাড়ার বিষয়ে বলেন, আব্দুল মতিন চৌধুরী এই এলাকাটার নাম দিয়েছিল জিয়া নগর। আমরা এই এলাকাটাকে মাদকমুক্ত করতে চাই। ইতোমধ্যে সেখানে মাদক নির্মূলে কমিটি করা হয়েছে। ঢাকায় যত মাদক যেত, এ অঞ্চল থেকে যেত। এখানে প্রচুর অস্ত্র রয়েছে। নয়ত কালকে আমাদেরই এই অস্ত্র নিয়ে এরা মারতে আসবে। মাদক ও অস্ত্র বন্ধ হলে এসকল চাঁদাবাজি বন্ধ হয়ে যাবে। বিএনপি চাঁদাবাজদের জায়গা দেবে না। তাদেরকে দল বহিষ্কার করবে বলে আশ্বস্ত দেন তিনি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুজ্জামান মনির, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া দিপু, জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন, সাবেক যুবদল কেন্দ্রীয় সহ সাধারণ সম্পাদক দুলাল হোসেন, রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বাছির উদ্দিন বাচ্চু, সহ সভাপতি আনোয়ার ছাদাত ছায়েম, জেলা জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ’র সুরা সদস্য এ্যাডভোকেট ইস্রাফিল হোসেন, রূপগঞ্জ উপজেলা আমীর সাইফুল ইসলাম সিরাজি, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের রূপগঞ্জ উপজেলা সভাপতি ইমদাদুল্লাহ হাশেমী। এছাড়াও হেফাজতে ইসলাম সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।