রাজনীতি

নির্দেশনায় টনক নড়ছে না

গেল মাসের ২৩ জুন সাত দিনের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের আহবায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক ও সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনিকে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটির নির্দেশ দিয়েছিলো বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি। এই নির্দেশনার পর একমাস অতিবাহিত হলেও এখনও কমিটি চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে দৃশ্য কোনো অগ্রগতি হয়নি।

এদিকে দীর্ঘদিন পেরুলেও পূর্নাঙ্গ কমিটি না থাকায় হতাশ জেলা যুবদলের কর্মীরা। তারা বলছেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন। বিএনপির সহযোগী সংগঠন এ নির্বাচনে মূখ্য ভূমিকা পালন করবে। অথচ মহানগরের পূর্নাঙ্গ কমিটি থাকলেও জেলা কমিটি তা করতে পারছে না। জেলার আহবায়ক, সদস্য সচিব ও যুগ্ম আহবায়কের মধ্যে মনোমালিন্য থাকায় পূর্নাঙ্গ কমিটি দিতে তারা ধীরগতি করছে। ফলে অন্যান্য জেলার থেকে নারায়ণগঞ্জে সাংগঠনিক কার্যত কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুবদলের এক নেতা বলেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটি থাকলে নেতাকর্মীরা সবাই উজ্জীবিত থাকে। সাংগঠনিক কার্যক্রমে গতি থাকে। এটা দলের জন্য ভালো। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকায় সবাই কেমন জানি প্রাণহীন হয়ে আছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ‘সময় সকালের’ প্রতিবেদককে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের আহবায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ কমিটি এখনো কেন্দ্রে জমা দেয়নি। কারণ আমার সেক্রেটারি রনির কারণে ধীরগতি হচ্ছে। আমার কোনো আন্তরিকতার ঘাটতি নেই। বারবার রনি সময় নিচ্ছে। এ বিষয়টি কেন্দ্রকে আমি জানিয়েছি।’

এ বিষয়ে জেলা যুবদলের সদস্য সচিব রনির মুঠোফোনে একাধিকবার কল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটস অ্যাপে ক্ষুদেবার্তা পাঠানো হলেও তিনি কোনোটাই রেসপন্স করেনি। যার জন্য তার বক্তব্য সংযুক্ত করা হয়নি। 

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ২৯ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের তিন সদস্যবিশিষ্ট আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন তৎকালীন যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন।

ওই কমিটিতে আহ্বায়ক পদে সাদেকুর রহমান সাদেক, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক খায়রুল ইসলাম সজীব ও সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনিকে দায়িত্ব দেয়া হয়। কমিটি গঠনের পর থেকেই সাদেকুর রহমান সাদেক ও খাইরুল ইসলাম সজীব একজোট হয়ে দলের কর্মসূচি পালন করেন। পৃথকভাবে সদস্য সচিব মশিউর রহমার রনি জেলা যুবদলের ব্যানারে কর্মসূচি পালন করে আসছেন। 

Back to top button