নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে গিয়াসপুত্র সাদরিলকে এমপি হিসেবে দেখতে চায় এলাকাবাসী

ঘনিয়ে আসছে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সারা দেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনে বইছে ভোটের হাওয়া। বর্তমান ও সাবেক সংসদ সদস্যদের উন্নয়নের হিসেব নিকেশও শুরু করেছে সাধারন মানুষ। এমনই আলোচনা চলছে নারায়ণগঞ্জ-৫ (নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন) আসনে। এই আসনে নানা উন্নয়ন ও উন্নয়ন বঞ্চিত মানুষরা চাচ্ছেন তরুন ও মেধাবী নেতৃত্ব।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ (নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন) আসনে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির শোনা যাচ্ছে গোলাম মুহাম্মদ সাদরিলের নাম।
মুক্তিযোদ্ধা পিতার সন্তান, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের পুত্র গোলাম মুহাম্মদ সাদরিল। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক, বাংলাদেশ জাতীয়তবাদী সাইবার ইউজার দলের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সহ সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর।
এই তরুণ নেতাকে ধানের শীষ মনোনয়ন দিলে এই আসনটি বিএনপির ঘরে উঠতে পারে বলে ধারণা করছেন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠন। পাশাপাশি ২৭টি ওয়ার্ডের সিটি কর্পোরেশনের সাধারণ মানুষও গোলাম মুহাম্মদ সাদরিলকে এমপি হিসেবে দেখতে চায়। তিনি তার তরুন নেতৃত্বের মধ্যদিয়ে সাধারন মানুষ ও এলাকার উন্নয়নের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটতে পারে বলে আশাবাদী এলাকাবাসীরা।
স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, বিগত শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের ১৬ বছরে গোলাম মুহাম্মাদ সাদরিলের বিরুদ্ধে শতাধিক মিথ্যা মামলা হয়েছে, এই মামলায় কয়েকবার কারাবরন করেছে তবু থেমে যায়নি রাজনীতির মাঠ থেকে । মামলার কারনে এলাকায় আসতে না পারলেও দুর থেকে নেতাকর্মীদের দিয়েছেন উৎসাহ। যাতে তাদের মনোবল ভেঙ্গে না যায়। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের টানা দুইবারের নির্বাচিত জনতার কাউন্সিলর গোলাম মুহাম্মাদ সাদরিল। সিটি নির্বাচনের সময় বিএনপিতে কোন পদপদবি না থাকলেও দুইবারই সাধারন মানুষের সমর্থনে নির্বাচিত হয়েছিলেন। নির্বাচিত হয়েই নেমে পড়েন এলাকার সাধারন মানুষের দুর্দশা দেখতে সেখানেই সমস্যা সেখানেই বাড়িয়ে দিয়েছেন সহযোগীতার হাত । দেশে করোনা মহামারির সময়ে নিরবে মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে পৌছে দিয়েছেন খাবার সামগ্রীসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র । তবু ও হাল ছাড়েননি যে কোন বিপদ-আপদে মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন ছায়ার মতো। তার নির্বাচিত এলাকাকে মাদক মুক্ত করার জন্য রীতিমতো তিনি যুদ্ধ ঘোষনা করেছিলেন, প্রশাসনের সহযোগীতায় মাদক ব্যাবসায়ী ও মাদক সেবীদের মাদক মুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিয়েছেন। নিজের নির্বাচিত এলাকা নারায়ণগঞ্জ ছাড়াও ব্যাক্তিগত উদ্যোগে সিলেট ও নোয়াখালীর বন্যার্তদের পাশে দাড়িয়ে বাড়িয়ে দিয়েছেন সহযোগীতার হাত। তিনি নিজে বন্যা দুর্ঘত এলাকায় গিয়ে বন্যার্ত মানুষের ঘরে ঘরে পৌছে দিয়েছেন উপহার সামগ্রী। এছাড়াও এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রসা, মন্দিরের সহযোগীতায় পাশে দাড়িয়েছেন সাদরিল। গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকার পালিয়ে গেলে শক্ত হাতে রাজনীতির মাঠে অবস্থান নেন সাদরিল, তার নেতা-কর্মীরা যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না করতে পারে সে জন্য কঠোর ভুমিকা পালন করেন তিনি। বাবা জেলা বিএনপি’র সভাপতি
এ বিষয়ে সাদরিল বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক ও জনগনের ভালোবাসা ও সর্মথন নিয়ে আমি নির্বাচনে অংশগ্রহন করবো (ইনশাআল্লাহ)। আমি জনগনের সমর্থন নিয়ে পরপর দু বার ফ্যাসিস্ট সরকারের মনোনীত প্রার্থীদের হারিয়ে নাসিক কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছি । আমি আশা করি দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে এ আসনটি দলকে বিজয়ী করে উপহার দিতে পারবো।