নারায়ণগঞ্জ-৩: জনপ্রিয়তায় আজহারুল ইসলাম মান্নান

বর্তমানে সোনারগাঁয়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা হলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান। গত ১৭ বছর রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে সম্মুখসারিতে থেকে আজহারুল ইসলাম মান্নান তার জনসমর্থনকে চাঙা করেছে এবং তার জনপ্রিয়তা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
সামনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসন পূনবিন্যাসে নারায়ণগঞ্জ-৩ সোনারগাঁয়ের সাথে সিদ্বিরগঞ্জের ১ থেকে ১০নং ওয়ার্ড সংযুক্ত করা হয়েছে। নেতাকর্মীরা কিছুটা দূর্বল হয়ে গেলেও আজহারুল ইসলাম মান্নানকে ততটা দূর্বল বানাতে পারেনি। নিজ অদ্যমে তিনি সোনারগাঁ ও সিদ্বিরগঞ্জের নেতাকর্মীদেরকে নিয়ে বিভিন্ন সভা করে নিজেকে চাঙ্গা রাখছেন। পাশাপাশি জেলা বিএনপির আহবায়ক মামুন মাহমুদ ‘ মান্নান ভাই নমিনেশন পেলে সিদ্বিরগঞ্জে সর্বপ্রথম জনসভা করবো’ তার এমন মন্তব্যে স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন আজহারুল ইসলাম মান্নান।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর উপজেলা ও পৌর বিএনপি আয়োজিত ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে তৃণমূলের ভাবনা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে আজহারুল ইসলাম মান্নান বলেন, যারা নির্বাচন করতে চান আসেন আমরা একত্রিত হয়ে দলের জন্য কাজ করি। যাতে অন্য কেউ এসে সোনারগাঁয়ে মাতবরি করতে না পারে। গত ২৬ তারিখ যারা নির্বাচন অফিসে মামলা করেছেন এই বেঈমানি সোনারগাঁয়ের রক্তের সাথে করবেন না। আপনারা ধানের শীষের নমিনেশন আনবেন ভালো আমরাও ধানের শীষে নির্বাচন করবো। আমাদের মধ্যে কোনো দ্বিধা থাকবে না।
তৃনমূল বলছে, গেল বছরের ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকার পালিয়ে গেলে সোনারগাঁ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনগুলোকে একত্র করে এক ছাতার নিচে ধরে রেখেছেন আজহারুল ইসলাম মান্নান। চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে দখলবাজির কোনো অভিযোগ নেই তার বিরুদ্ধে। বর্তমানে নেতাকর্মীদের ভালোবাসা তার প্রতি বেড়েছে দিগুন। আগামী দিনের জনগণের সেবক হিসেবে নেতাকর্মীরা এখন মান্নানের উপরই ভরসা রাখতে চান।
সূত্র জানায়, আজহারুল ইসলাম মান্নান সোনারগাঁয়ের একটি অংশ। ১/১১ এর ফখরুদ্দিন মঈনউদ্দীনের আমলে সোনারগাঁয়ের বিএনপির ঝাণ্ডা ধরেছিলেন তিনি। সে সময় তাকে দমিয়ে রাখতে মামলা করা হয়েছিলো ৩০টির বেশি। এরপর স্বৈরাচারি সরকার শেখ হাসিনার আমলে গত ১৬ বছর ৪০টি মামলায় জেল জুলুম ও হামলা মামলা নির্যাতনের পরেও রাজপথের আন্দোলনে বহাল ছিলেন বিএনপির এই ত্যাগী নেতা। উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেও চেয়ারে বসতে পারেননি এক বছরও। বিভিন্ন মামলায় দেখিয়ে বহিষ্কার করা হয়েছে ৬ বার। তবুও সরকারি দল আওয়ামীলীগ কিংবা জাতীয় পার্টির এমপির সঙ্গে আতাত করে চেয়ারম্যানের চেয়ারে বসে থাকার চেষ্টাও করেননি রাজপথের আপোষহীন নেতা মান্নান। সোনারগাঁবাসী বলছে, দল থেকে যদি তাকে নমিনেশন দেওয়া হয় বিজয় সময়ের ব্যাপার।