দুর্গ ফিরে পাওয়ার লড়াই সোনারগাঁ আওয়ামী লীগের
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সরগরম হয়ে উঠেছে সোনারগাঁয়ের রাজনৈতিক অঙ্গন। প্রার্থিতা জানান দিতে মাঠে নেমে পড়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। দলীয় কর্মকাণ্ডে সরব উপস্থিতিসহ ব্যস্ত সময় পার করছেন নেতারা।
২০১৪ সালে মুখ থুবড়ে পড়ে ‘সোনারগাঁয়ের দুর্গ’। পরপর দুবার নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসন হারায় দলটি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কি আওয়ামী লীগ সেই দুর্গ ফিরে পাবে? ভোটের মাঠে এখনো সরব উপস্থিতি না থাকলেও নেতা-কর্মীদের মুখে এই সংগ্রামী সংলাপ। আসন পুনরুদ্ধারে লড়তে মরিয়া একাধিক নেতা। আওয়ামী লীগ কি আর বসে থাকে! ছয় মাস বাকি থাকতেই মাঠে সরব দলটির ডজনখানেক নেতা।
আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারকরা বলছেন, এ আসনে নৌকাকে ধরে রাখতে কাজ করছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। সে অনুযায়ী উপজেলা ও ইউনিয়ন কমিটিগুলোকে ঢেলে সাজাচ্ছে।সবশেষ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৭১ সদস্য বিশিষ্ট শক্তিশালী কমিটি গঠন করেছে সোনারগাঁ আওয়ামী লীগ। বিএনপি বলছে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে মানুষ বিএনপি প্রার্থীদের বিপুল ভোটে বিজয়ী করবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নেতারা দল ও এলাকায় যোগাযোগ বাড়িয়ে দিয়েছেন। কারা দলীয় প্রার্থী হতে পারেন এ নিয়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যেও আলোচনা চলছে।তবে কিছু প্রার্থী এলাকায় নিজেকে জাহির করতে মাঠে নেমে গেছেন।
আওয়ামী লীগ থেকে যারা মনোনয়ন চাইবেন তারা হলেন এ আসনটির সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কায়সার হাসনাত, উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট শামসুল ভূইয়া, সোনারগাঁ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম, কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ডা. আবু জাফর চৌধূরি বিরু, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার, উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রনেতা মাহফুজুর রহমান কালাম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপ-কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এ এইচ এম মাসুদ দুলাল ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এরফান হোসেন দীপ।
এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৩ হাজার ৮৩৭ জন।আর একটু বেশিও হতে পারে। সাধারণ ভোটরার বলছেন, বিএনপি যদি নির্বাচনে যায় এ আসনে ত্রিমুখী লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে শেষ হাসি ঠিক কে হাসতে পারেন, সেটি বলা এখন মুশকিল।